চট্টগ্রাম জেলা

আড়াই কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ছিলেন

শ্রমিকলীগ নেতা বসু মাঝি

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
আড়াই কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ছিলেন

এক ইটভাটার মলিক হতে শ্রমিক সরবরাহ করার কথা দিয়ে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে দীর্ঘ একবছরেরও বেশি সময় আত্মগোপনে ছিলেন বসির আহমদ প্রকাশ বসু মাঝি। গত রোববার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরের স্টেশন রোড থেকে ধরা পড়ার পর অবশেষে আদালতে সোপর্দ করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। তার বাড়ি নোয়াখালী সদর উপজেলার করমূল্য বাজার পশ্চিম শুল্যকিয়া এলাকায়। তিনি সেখানে শ্রমীক লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এঘটনায় তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও আত্মসাৎ এর মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রহিম।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছর ৮ আগস্ট চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার মা ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারার্স এর মালিক মাওলানা রফিক আহমদ সিকদারের কাছ থেকে ইটভাটায় এক সিজনের শ্রমিক বা কারিগর দেওয়ার কথা দিয়ে বসু মাঝি ৫০ লক্ষ টাকা নেয়। এছাড়া অন্য ইটভাটা মালিক নুরুল আলম কোম্পানি, আইযুব মেম্বার, ডেম্পা খোরশেদের কাছ থেকেও এভাবে শ্রমিক সরবরাহের কথা বলে বিপুল পরিমাণ টাকা নেন। কিন্তু এরপর থেকে পুরোপুরি লাপাত্তা হয়ে যান তিনি। বন্ধ করে দেন মোবাইল। মোবাইল ফোনে না পেয়ে ইটভাটার মালিকরা নোয়াখালী গিয়ে তার খোঁজ করলে তিনি নানা জনের মাধ্যমে তৎকালীন আওয়ামী লীগের প্রভাব দেখিয়ে উল্টো হুমকি-ধমকি দিতেন। ইটভাটার মালিকরা সেসময় অসহায় হয়ে পড়েন। এরমধ্যে একদিকে ইটভাটায় শ্রমিক না পাওয়া অন্যদিকে লাখ লাখ টাকা হারিয়ে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হন ইটভাটার মালিকরা।

লোহাগাড়া উপজেলা ব্রিকফিল্ড মালিক সমিতির প্রধান সমন্বয়কারী নুরুল ইসলাম সিকদার দৈনিক ভোরের আকাশ কে বলেন, বসু মাঝি আমাদের এলাকার অসংখ্য ব্যবসায়ীকে পথে বসিয়েছেন। সে একসময় লোহাগাড়ার বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিক সরবরাহ করতো। এবার সে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের শক্তি দেখিয়ে প্রতারণা করে বেশ কয়েকজন ব্রিকফিল্ড মালিকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান। আমরা তার বিচার ও অর্থ ফেরৎ দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার মো. আশরাফুল আলম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বসু মাঝি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার একাধিক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে মাওলানা রফিক আহমদ সিকদার মামলা দায়ের করেছেন। আমরা তাকে আইনের কাছে সোপর্দ করেছি।

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য