৫ আগস্টের পর বিএনপিতে ভাড়াটিয়া নয়

- পারভেজ মল্লিকের হুঁশিয়ারি

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
৫ আগস্টের পর বিএনপিতে ভাড়াটিয়া নয়

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস করবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সাভারের বিরুলিয়ার আক্রান এলাকায় বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম মাহমুদুল হাসান আলাল চেয়ারম্যানের কবর জিয়ারত শেষে গণমাধ্যমে তিনি এ কথা জানান।

পারভেজ মল্লিক বলেন, “আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং নেতা তারেক রহমান সবসময় বলেন, বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে কিন্তু শত্রু নেই। আমরা সমতার ভিত্তিতে রাজনীতি করি। তবে কোনো দেশের চাপিয়ে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেব না। কারণ, বিএনপি স্বাধীনচেতা এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি আস্থাশীল।”

তিনি আরও বলেন, “বিগত হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার ভারতের তাবেদারী করেছে। তাই ভারত যা বলেছে, তারা সেটাই মেনেছে। বর্তমানে দেশের মানুষ দেশপ্রেমিক সরকার চায়। সাধারণ মানুষ যত বেশি দেশপ্রেম দেখাবে, ভারত তত নাখোশ হবে, এবং ভারতীয় মিডিয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে প্রপাগাণ্ডা তত বেশি ছড়াবে।”

বিএনপিতে পুনর্বাসনের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পারভেজ মল্লিক জানান, “এটি দলের কোনো সিদ্ধান্ত নয়। কেউ ব্যক্তিগতভাবে করলে তা তার নিজস্ব বিষয়। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছেন। অন্য কোনো সংগঠন থেকে বিএনপিতে যোগদানের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। ৫ আগস্টের পর বিএনপিতে কোনো ভাড়াটিয়া লোকের দরকার নেই। আমাদের নিজেদের লোকই যথেষ্ট।”

তিনি জানান, “দেশে থেকে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণকারীদের অবদান সবচেয়ে বেশি। আমরা বাইরে থেকে সক্রিয় থেকেছি এবং চেষ্টা করেছি সহযোদ্ধাদের উৎসাহিত করতে, যারা গুম-খুন ও মামলা-হামলার ভয় উপেক্ষা করে রাজপথে থেকেছেন।”

মরহুম আলাল চেয়ারম্যানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পারভেজ মল্লিক বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় মানুষের বাক-স্বাধীনতা ছিল না। আমি আলাল ভাইকে শুধু বলতাম, নিজের জীবনটা রক্ষা করতে হবে। কিন্তু তিনি দল এবং দেশের জন্য কাজ করতে পিছপা হননি। তার বিয়োগ আমাদের জন্য আকস্মিক এবং অপ্রত্যাশিত।”

এর আগে, পারভেজ মল্লিক বিরুলিয়ার আক্রানে আলাল চেয়ারম্যানের বাসভবনে এলে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান আলালের ছোট ভাই আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। আলাল চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যদের সাথে দীর্ঘদিন পর সাক্ষাতে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। পরে তিনি মরহুমের কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৯ মে সাভার উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হাসান আলাল ব্রেন স্ট্রোকে মারা যান। তাকে তার আক্রানের বাসভবনের পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য