গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে

ঘোষণা দিয়ে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
ঘোষণা দিয়ে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ঘোষণা দিয়ে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের পরান গ্রামে গত শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে শনিবার সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ এজাহার করেছেন ছাত্রীর মা মোছাঃ ফেরোজা বেগম।

আসামিরা হলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম খামার এলাকার হাফিজুর রহমানের পুত্র মোঃ নাহিদ মিয়া, আমজাদ হোসেনের পুত্র মোঃ হৃদয় মিয়া, মৃত ফুল মিয়ার পুত্র হাফিজার রহমান, হাফিজুর রহমানের স্ত্রী নাজমা বেগম, মৃত খটু ব্যাপারীর পুত্র আমজাদ হোসেন, আমজাদ হোসেনের স্ত্রী হামিদা বেগম।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মোঃ নাহিদ মিয়া ও তার সহযোগী আসামিরা পরান রাবেয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী গোলাপী খাতুনকে (ছদ্মনাম) স্কুলে যাতায়াতের বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করে ও বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দেয়।

ভিকটিম কুপ্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় গত ২৭ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে ভিকটিমকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এতে ভিকটিমের মা ও বোন বাধা দিলে আসামিরা তাদের বাধা উপেক্ষা করে অপহরণ করে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখে।

ভিকটিমের মামা দসিজল হক আনিস বলেন, "আসামিরা বখাটে, নারী নির্যাতনকারী। তারা আমার ভাগনিকে অপহরণ করা হবে এমন ঘোষণা আগেই দিয়েছিল। আমার বোন জামাই মৃত্যুবরণ করায় আসামিরা তাদের স্বার্থ হাসিলে মগ্ন থাকে। এর ধারাবাহিকতায় তারা আমার ভাগনিকে অপহরণ করেন।"

অপহৃত কিশোরীর মা মোছাঃ ফেরোজা বেগম বলেন, "আমার মেয়ে খুবই শান্ত স্বভাবের। সে পড়াশোনায় খুবই মনোযোগী। আমার মেয়ে বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে নাহিদ ও তার কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গ মিলে তাকে অপহরণ করেছে। আমার মেয়েকে তারা গোপন স্থানে বন্দি করে রেখেছে। আমি আমার মেয়েকে অক্ষত অবস্থায় ফেরত চাই।"

সুন্দরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আবু সাঈদ বলেন, "এ ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য