সাভারের আশুলিয়ায়

পাইকারি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
পাইকারি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

সাভারের আশুলিয়ায় একটি বাজারে মশলা ও নিষিদ্ধ পলিথিনের পাইকারি দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে আটটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে দশটার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল মোড় এলাকায় রমজান আলী সুপার মার্কেটের একটি দোকানে প্রথম আগুন লাগে। সেখান থেকে দ্রুত আগুন মার্কেটে থাকা আরও আটটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ দোকানে নিষিদ্ধ পলিথিন মজুদ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. আকবর হোসেন জানান, “আমরা একটি দোকান থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখি। পরে দোকানের শাটার ভেঙে ফেললে ভেতরে আগুন দেখতে পাই। ওই দোকান থেকে আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। দোকানে পলিথিন ছিলো, যা আগুন দ্রুত ছড়ানোর মূল কারণ।”

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বেশিরভাগ দোকান পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগের পাইকারি দোকান ছিল। যদিও মসলার দোকানও কিছু ছিল, তবে নিষিদ্ধ পলিথিনের আধিক্য আগুন ছড়াতে এবং নিয়ন্ত্রণে দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে কাজ করেছে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাতে আড়তের একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুনের তীব্রতা বেশি হওয়ায় তা দ্রুত আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের খবর পেয়ে প্রথমে ডিইপিজেড স্টেশন থেকে তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে জিরাবো ফায়ার স্টেশন থেকে আরও তিনটি ইউনিট যোগ দেয়। দেড় ঘণ্টার চেষ্টার পর রাত ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিসের জোন-ফোরের ডিএডি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, “আমরা রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে খবর পাই। ডিইপিজেড স্টেশন থেকে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে জিরাবো স্টেশন থেকে আরও তিনটি ইউনিট যুক্ত হয়। দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুন লাগার কারণ এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।”

আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং আগুন লাগার কারণ জানার জন্য তদন্ত চলছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য