পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার ৬৫ নং নাজিরপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমি না থাকায় শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত ভবন নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না।
বিদ্যালয়টি ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এটি উপজেলা পরিষদের একটি ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩৪২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। নিজস্ব জমি না থাকায় বিদ্যালয়টি সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। চার কক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল ভবনের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও নিজস্ব জমি না থাকায় ভবন নির্মাণ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত সমদ্দার অকৃষি খাস জমি বরাদ্দের জন্য গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক বিদ্যালয়ের নামে জমি বরাদ্দ প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রশাসনিক অনুমোদন চেয়ে পত্র প্রেরণ করেন।
তবে ২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। এতে জানানো হয় যে, ভূমি সমস্যার কারণে চাহিদা ভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (১ম পর্যায়) আওতায় নাজিরপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ বাতিলের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) বি. এম. মাহামুদুল হাসান বলেন, “ভূমি জটিলতার কারণে ভবনের প্রস্তাবনা বাতিলের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত সমদ্দার জানান, “নতুন ভবনের বরাদ্দ পেলেও জমি এবং প্রশাসনিক আদেশ না থাকায় ভবনটি ফেরত যাচ্ছে। অকৃষি খাস জমি বরাদ্দ এবং প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে, যা বর্তমানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন। তবে এখন পর্যন্ত এর কোনো সুরাহা হয়নি।”
উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কর্মকার বলেন, “ভবন নির্মাণের প্রস্তাবটি এখনো বাতিল হয়নি। জমির বিষয়টি নিয়ে অধিদপ্তরে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। সরকারের পরিবর্তনের কারণে অনুমোদন প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হয়েছে।”
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরূপ রতন সিংহ বলেন, “জমি বরাদ্দের আগেই ভবনের প্রস্তাবনা করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের নামে জমি বরাদ্দের চেষ্টা চলছে।”
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য