২০২৪ সালে চট্টগ্রাম মহানগর ও ১৫ উপজেলায় মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩২৩ জন, যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি হলেও, মৃত্যুর হার নারীদের মধ্যে বেশি। মহানগরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা উপজেলাগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
নতুন বছরের শুরুতেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন—এদের মধ্যে ১ জন পুরুষ, ২ জন নারী এবং ১ জন শিশু। বুধবার (১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত ডেঙ্গু প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪ হাজার ৩১৮ জনের মধ্যে ২ হাজার ২৮৬ জন পুরুষ, ১ হাজার ২৪০ জন নারী এবং ৭৯২ জন শিশু। মহানগরে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৭৪০ জন এবং উপজেলায় ১ হাজার ৫৭৮ জন।ডেঙ্গুতে মৃত ৪৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন, নারী ২৪ জন এবং শিশু ৫ জন।
মাসভিত্তিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার
২০২৪ সালে মাসভিত্তিক আক্রান্তের সংখ্যা:
- জানুয়ারি: ৩৯ জন
- ফেব্রুয়ারি: ২৫ জন
- মার্চ: ২৮ জন
- এপ্রিল: ১৮ জন
- মে: ১৭ জন
- জুন: ৪১ জন
- জুলাই: ১৯৮ জন
- আগস্ট: ২০২ জন
- সেপ্টেম্বর: ৯০৭ জন
- অক্টোবর: ১ হাজার ৪৩০ জন (সর্বোচ্চ আক্রান্ত)
- নভেম্বর: ১ হাজার ২৮ জন (সর্বোচ্চ মৃত্যু)
- ডিসেম্বর: ৩৬০ জন
জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
উপজেলা পর্যায়ের পরিস্থিতি
১৫ উপজেলায় মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত ১ হাজার ৫৮০ জন। সিভিল সার্জনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আক্রান্তের সংখ্যা উপজেলাভেদে নিম্নরূপ:
- লোহাগাড়া: ২২৪ জন
- সাতকানিয়া: ১৭১ জন
- বাঁশখালী: ৯৯ জন
- আনোয়ারা: ৬০ জন
- চন্দনাইশ: ৯৩ জন
- পটিয়া: ১০৯ জন
- বোয়ালখালী: ৫৪ জন
- রাঙ্গুনিয়া: ৪১ জন
- রাউজান: ১৭৫ জন
- ফটিকছড়ি: ৫৪ জন
- হাটহাজারী: ৬৭ জন
- সীতাকুণ্ড: ২৭৭ জন
- মিরসরাই: ৫৪ জন
- সন্দ্বীপ: ২০ জন
- কর্ণফুলী: ৭৮ জন
২০২৩ সালে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৪ হাজার ৮৭ জন, মৃত্যু হয়েছিল ১০৭ জনের। ২০২২ সালে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫ হাজার ৪৪৫ জন, মৃত্যু হয়েছিল ৪১ জনের। ২০২১ সালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৭১ জন, মৃত্যু হয়েছিল ১ জনের।
২০২৪ সালে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হলেও, বিশেষত নারীদের মধ্যে মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক। মহানগর ও উপজেলার সংক্রমণ হ্রাসে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য