ব্লগস্পটে শেয়ার করুন
ফেনীতে চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও মানহানির অভিযোগে করা এক মামলায় বহিষ্কৃত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক ওমর ফারুক শুভকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে ফেনী সদর মডেল থানার সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ওমর ফারুক শুভ ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদনগর ইউনিয়নের জগৎ-জীবনপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে।
আন্দোলনে জড়িত থাকায় বহিষ্কার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফেনীর দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গত বছরের জুলাই মাসে আন্দোলনের সময় ফেনী কমিটির সহ-সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন শুভ। তখন নিজেকে ফেনী সরকারি কলেজ ও আলিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিতেন। তবে, আন্দোলনে শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় গত ১৭ আগস্ট তাঁকে পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
চাঁদাবাজির অভিযোগ ও অডিও ফাঁস
জানা যায়, সরকার পরিবর্তনের পর সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ফেনী আলিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসানকে স্বপদে বহাল রাখার আশ্বাস দিয়ে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন শুভ। চাঁদা দাবির ১৫ মিনিট ১২ সেকেন্ডের কথোপকথনের একটি অডিও মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে শুভ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুল কাদের ও হামজা মাহবুবের নাম উল্লেখ করে চাঁদা দাবি করেন। অডিওতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ও ফেনীর বাসিন্দা আজিজুর রহমানের নামও উঠে আসে।
ওই অডিওতে শুভ সরকারের উপদেষ্টা ও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতাদের সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এর ফলে জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
মামলা ও গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, অডিওতে নাম উল্লেখ করায় আজিজুর রহমানের বাবা ছিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও মানহানির অভিযোগে মামলা করেন। কৌশলে শুভকে থানা এলাকায় ডেকে এনে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শুভর দাবি
গ্রেপ্তারের আগে সাংবাদিকদের কাছে শুভ দাবি করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অডিও এডিট করা হয়েছে। এটি তাঁর কণ্ঠ নয় এবং তাঁকে হেয় করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নন বলেও দাবি করেন।
পুলিশের বক্তব্য
ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, "গ্রেপ্তার আসামি শুভকে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।"
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য