তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে গাইবান্ধার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দিনের বেলাতেও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো ঘন কুয়াশা পড়ছে। ঝিরঝিরি বাতাস আর প্রচণ্ড ঠাণ্ডার ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলার হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
গত তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। বৃহস্পতিবার সারাদিনও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ঘন কুয়াশার কারণে ব্রহ্মপুত্র-যমুনাসহ অন্যান্য নদ-নদীতে নৌযান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সড়ক ও রেলপথেও একই চিত্র। দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে মোটরসাইকেল, অটোবাইক, ট্রেনসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে। তীব্র ঠাণ্ডার কারণে জেলার কৃষকেরা জমিতে কাজ করতে পারছেন না। অব্যাহত কুয়াশা এবং সূর্যের অনুপস্থিতির কারণে ক্ষেতের সরিষা ও বোরো ধানের বীজতলা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। হলুদ রং ধারণ করছে ধানের চারা এবং সরিষার গাছগুলো রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে, প্রচণ্ড শীতের প্রভাব মানুষের জীবনেও স্পষ্ট। ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া প্রভৃতি রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলার সরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গরম কাপড়ের অভাবে ছিন্নমূল মানুষ শীত নিবারণে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছেন। এ অবস্থায় শহরের গাউন মার্কেটগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষ শীতের কাপড় কেনার জন্য ভিড় করছেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ আল হাসান জানিয়েছেন, সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৭০০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও কম্বল বিতরণ করা হবে।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য