শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার জুলগাঁও নয়াপাড়াতে মজনু মিয়া (১৮) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের জুলগাঁও নয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। মজনু মিয়া ওই গ্রামের জিয়ারুল হকের দ্বিতীয় ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মজনু মিয়া পেশায় একজন মৎস্যজীবী। ৪ ভাই-বোনের মধ্যে মজনু মিয়া একাই বাড়িতে থাকতেন। তার বাবা জিয়ারুল হক, মা ও বড়ভাই কর্মসূত্রে ঢাকার আশুলিয়া থাকেন। একই বাড়িতে তার নানা মোফাজ্জল ও দুই মামা বসবাস করেন।
গতরাতে বাজার থেকে ফিরে খাওয়া-দাওয়া সেরে রাত ১০ টার দিকে নিজের ঘরে ঘুমাতে যান মজনু মিয়া। শনিবার ওই গ্রামের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করা হবে। স্মার্টকার্ড সংগ্রহের জন্য আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে সবাই বাড়িতে আসেন। মজনুর মা ছেলে মজনুর খোঁজ করতে গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ঘরের ধরনায় মজনুর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে তার ডাক চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা এসে লাশ উদ্ধার করেন।
এলাকাবাসী ও পরিবার এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছেন। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন, তার কারণ জানা যায়নি। মজনু মিয়া খুবই ভালো ছেলে ছিলেন এবং কারো সাথে তার কোনো বিবাদ ছিল না বলে জানান পরিবার।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ও ইউপি সদস্য মো. হাবিবুল্লাহ। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য