শেরপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও শীতার্ত পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে প্রায় তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ করেছে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। ৬ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে শ্রীবরদী সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন থেকে আগত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও শীতার্ত পরিবারের মাঝে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাজিয়া সামাদ ডালিয়া। রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল আমিন রাজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শ্রীবরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.কে.এম. আলিফ উল্লাহ আহসান, শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার জাহিদ, রক্তসৈনিক শ্রীবরদী উপজেলা শাখার আহবায়ক পিকে এস দ্বীপন প্রমুখ।
ওইসময় উপস্থিত ছিলেন রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান শামীম, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, রক্তসৈনিক শ্রীবরদী শাখার যুগ্ম আহবায়ক শামীম মিয়া, সদস্য সচিব শাহিন মিয়া, কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি এস.এম. জাকির হোসেন, চরমোচারিয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি তাহসান শাকিল, ভেলুয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি কাওছার আহমেদ, গোশাইপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, তাতিহাটি ইউনিয়ন শাখার সদস্য সচিব মেহেদী হাসান রুবেল, কাকিলাকুড়া ইউনিয়ন শাখার আহবায়ক মেহেদী হাসান, সিংগাবরুনা ইউনিয়ন শাখার আহবায়ক সাদিয়া আফরিন শান্তা, কেকেরচর ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম আহবায়ক সোহেল মিয়া, গড়জড়িপা ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম আহবায়ক তাহসিন নয়নসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাজিয়া সামাদ ডালিয়া বলেন, "প্রতি বছর আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে শীতার্ত পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে থাকি। এবার আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও শীতার্ত পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছি। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।"
রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল আমিন রাজু বলেন, "কনকনে ঠান্ডা ও হিম বাতাসে কাঁপছে দেশ, এমন হাড়কাঁপানো শীতে পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় অসহায় মানুষের কষ্টের সীমা নেই। সারা দেশের রক্তসৈনিক সহযোদ্ধাদের উদ্যোগে বিভিন্ন জেলায় চলছে অসহায় শীতার্ত মানুষের পাশে রক্তসৈনিক উষ্ণ ভালোবাসা (কম্বল) বিতরণ। এ উদ্যোগের মাধ্যমে শীতের কষ্ট কিছুটা লাঘব করে তাদের মুখে হাসি ফুটানোর ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।"
শীতবস্ত্র (কম্বল) পাওয়া ফজু মিয়া বলেন, "আমরা পাহাড়ের পাশে থাকি। এখানে ঠান্ডা বেশি। অনেক কষ্ট করি, আমাদের কেউ কম্বল দিতে আসে না। এই বাবারা এসেছে, কম্বল দিয়েছে, এখন শীতে কম লাগবে, আরামে ঘুমাতে পারব।"
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য