কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের বড়কান্দা দারুল কুরআন নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ৯ বছরের বয়সী শিক্ষার্থী মোঃ হোসাইন আহমেদ তার বাবার ইচ্ছাপূরণে মাত্র ৬ মাসে পবিত্র গ্রন্থ আল-কুরআন হিফজ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তার এ অর্জনে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাকে পাগড়ি প্রদান করেছে।
শিশুটির এ অর্জনে বাবার উৎসাহ এবং অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মাওলানা আব্দুল জব্বার ও দুই ওস্তাদ হাফেজ মনজুর আহমেদ এবং হাফেজ মোঃ রিফাত হোসেনের কৃতিত্ব রয়েছে।
ওস্তাদ হাফেজ মোঃ রিফাত হোসেন জানান, হোসাইন আহমেদ খুবই মেধাবী ও উদ্যমী। মাত্র এক বছর হয়েছে সে মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে। এরই মধ্যে কায়দা, আমপারা সম্পূর্ণ করে ৬ মাসেই কুরআনের হিফজ সম্পূর্ণ করেছে।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মাওলানা আব্দুল জব্বার জানান, এক বছর আগেও হোসাইন, বড়কান্দা আইডিয়াল স্কুল থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ‘গোমতী কিন্ডার গার্ডেন অ্যাসোসিয়েশন’ থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল। পরে তার বাবার স্বপ্ন ও ইচ্ছা পূরণে তাকে মাদ্রাসায় পাঠানো হয়।
হোসাইন আহমেদ উপজেলার বড়কান্দা গ্রামের রাজমিস্ত্রী ঠিকাদার মোঃ মামুন মিয়ার পুত্র। তার বাবা জানান, পুত্রকে হাফেজ বানানোর স্বপ্ন ছিল তার, তাই স্কুল থেকে মাদ্রাসায় দিয়েছে কুরআন পড়ার জন্য। মাত্র ৬ মাসে বাবার স্বপ্ন পূরণ করেছে সে। তার এ অর্জনে পুরো পরিবার মুগ্ধ। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য