শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে এক মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের উত্তর কান্দুলী গ্রামের দিনমজুর পরিবারের কন্যা ও বাগেরভিটা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। অপহরণের ১৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো উদ্ধার হয়নি মাদ্রাসা ছাত্রী। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে ঝিনাইগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ঘটনার সাথে জড়িত কোনো অপরাধী এখনো গ্রেফতার হয়নি।
অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশী রাজু মিয়া ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে মাদ্রাসায় যাতায়াতের পথে মাঝে মধ্যেই উত্যক্ত করে আসছিল। ওই মাদ্রাসাছাত্রী ও রাজু মিয়া সম্পর্কে চাচা-ভাতিজি। রাজু মিয়া ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিত। এ বিষয়ে মাদ্রাসাছাত্রী রাজু মিয়াকে অপমানও করে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজু মিয়া আরও উত্তেজিত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে গত ২২ ডিসেম্বর রবিবার বিকালে ওই ছাত্রী বাড়ির উঠানে কাজ করার সময় রাজু মিয়া তার সহযোগী মাইনুল, আইজল, জাহাঙ্গীরসহ আরও কয়েকজনের সহযোগিতায় তাকে বাড়ির সামনে থেকে একটি সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে ঝিনাইগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ১৬ দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রী। গ্রেফতার হয়নি ঘটনার সাথে জড়িত কোনো অপরাধী। উল্টো আসামিরা মাদ্রাসাছাত্রীর পরিবারকে ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শনসহ মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছেন। ফলে ওই ছাত্রীর পরিবার এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মেয়েকে না পেয়ে দিশেহারা পরিবার।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঝিনাইগাতী থানার এসআই মো. জামাল মিয়া বলেন, বিষয়টি তার আগে অন্য একজন দেখেছেন। পরে ওসি সাহেব বিষয়টি দেখার জন্য তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য