সরকার পতন পরবর্তী বিয়ানীবাজার উপজেলা টিসিবির পণ্য বিক্রি যথেষ্ট কমেছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে কমমূল্যের পণ্য বিক্রির ট্রাকসেল কমে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষরা বিপাকে পড়েছেন। প্রথম কিছুদিন ডিলার নিয়ে সংকট (মামলায় আত্মগোপন), পর্যাপ্ত ডিলার নিয়োগ না হওয়া, পণ্য বিক্রিতে জনপ্রতিনিধিদের অযাচিত হস্তক্ষেপ, টিসিবির কার্ড নিয়ে স্বজনপ্রীতি ইত্যাদি কারণে এমনিতেই উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস ছিল চরমে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টিসিবি সয়াবিন তেল, চিনি, চালসহ বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় বিয়ানীবাজারে ট্রাকসেলও অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। যদিও আগের মতোই পণ্য নিয়ে ট্রাক আসবে, এই আশায় বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় নিম্ন আয়ের মানুষ জড়ো হচ্ছেন। একটি সূত্র জানায়, ‘টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধ হয়নি। ১ জানুয়ারি থেকে ট্রাকসেলে সয়াবিন তেল, চিনি ও চাল দেওয়া হচ্ছে না।’ একই সূত্র জানায়, আগের মতো সব উপজেলায় ডিলাররা পণ্য পাচ্ছেন না। হঠাৎ করে কোনো পণ্যের দাম বেড়ে গেলে তখন সরবরাহ করা হয়। সয়াবিন তেল, চিনি ও ডাল রেগুলার আইটেম। তবে রমজানে ছোলা ও খেজুর দেওয়া হয়। অনেক কোম্পানি চুক্তি করার পরও ঠিকমতো পণ্য সরবরাহ করতে পারে না। এ জন্য ডিলারদের পণ্য দিতে একটু দেরি হচ্ছে। বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন আয়ের মানুষ ও নিম্ন মধ্যবিত্তের মানুষ বিপাকে আছেন। তাই তাদের স্বস্তি দিতে টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে ট্রাকসেল বেশ সমাদৃত হয়। বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলায় মোট ১৯জন ডিলার থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ৭জন। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, পৌরশহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে ১জন এবং ইউনিয়ন প্রতি একেকজন ডিলার থাকার কথা। সে হিসাবে শুরু থেকে উপজেলায় ডিলার সংকট বিদ্যমান।
ডিলাররা ডিপোতে টাকা জমা করে টিসিবির পণ্য নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে বিক্রি করেন। এতে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ দারুণভাবে উপকৃত হন। কারণ বাজারমূল্য থেকে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল কমপক্ষে ৮৫ টাকা কমে তারা টিসিবি ডিলারদের কাছ থেকে কিনতে পারছিলেন। একইভাবে কম দামে চাল কিনে অনেকটা স্বস্তিতে কাটাচ্ছিলেন নিম্ন আয়ের লোকজন। বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মুস্তাফা মুন্না জানান, এখানে ডিলার সংকটের বিষয়টি অনেক আগ থেকে। আর টিসিবির ট্রাকসেলের বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য