চট্টগ্রামে আদালত চত্বরে হামলা-ভাঙচুরের মামলায় ৬৫ আইনজীবীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসান শাহরিয়ার এই আদেশ দেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ৬৫ আইনজীবী আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে এক ঘণ্টা ধরে শুনানি চলে। শুনানি শেষে তাঁদের জামিনের আদেশ দেন আদালত। এ সময়, এজলাসে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় অনেক আইনজীবীকে শুনানি চলার সময় বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
এদিকে, আদেশের পর আইনজীবীদের একাংশ আদালত চত্বরে এসে জামিনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তাঁরা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর, ইসকনের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান, আলিফ ভাই কবরে খুনি কেন বাইরে’—এ ধরনের বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
অন্যদিকে, সকাল থেকে আদালত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূইয়া বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনার মামলায় আসামি ৬৩ জন আইনজীবী আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। এক হাজার টাকার বন্ডে আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী রাজীব পাল বলেন, “আদালত আমাদের শুনানিতে সন্তুষ্ট হয়ে এ মামলার চার্জশিট না হওয়া পর্যন্ত ৬৩ জন আইনজীবীকে জামিন দিয়েছেন। একইসঙ্গে তাঁরা আদালতে পেশাগত কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।”
মামলা সূত্রে জানা যায়, গেল বছরের ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই আদেশের পর আদালত প্রাঙ্গণে হামলা-ভাঙচুর হয়। এরপর আদালত প্রাঙ্গণের বাইরে আইনজীবী আলিফকে খুন করা হয়।
এরপর ৩০ নভেম্বর এ ঘটনায় নিহত আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নামে হত্যা মামলা করেন। একইদিন তার বড় ভাই খানে আলম আইনজীবীদের ওপর হামলা, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ১১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪শ থেকে ৫শ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেন। সেই মামলায় আসামি করা হয় ৭০ জনেরও বেশি আইনজীবীকে।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য