অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা জনাব আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, প্রতি কার্যদিবসে উপজেলাগুলোতে ২ মেট্রিক টন করে ওএমএসে চাল দেয়া হচ্ছে। দরকার হলে আমরা এটি আরও বাড়াবো। আস্তে আস্তে বাজারে চাপ কমলে বাজারও স্থিতিশীল হয়ে আসবে। ফলে সাধারণ মানুষের জন্য সুবিধা হবে।
গতকাল সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে চলতি মৌসুমের আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জন নিয়ে বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারসহ সব জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, বরিশাল অঞ্চলে আমন দেরিতে হয়। তবে আমরা আশা করছি, নির্ধারিত সময়সীমা অনুসারে আমন সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। বরিশাল অতীতে যেসব কাজে সফল হয়েছে, এ বিষয়েও তারা সফল হবে।
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে। তবে দেশে চাল আমদানি করা হচ্ছে গুদামে মজুত রাখার জন্য নয়, বরং লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোর উদ্যোগ হিসেবে। সরকারি গুদামে লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোর উদ্যোগ এখনই নেয়া হবে না। কারণ, সরকারি গুদামে নেয়ার পর আমরা বাজারে চাল সরবরাহ করি। তবে কৃষকরা যদি আমাদের কাছে বিক্রি করতে চান, আমরা অবশ্যই নিব। তবে নিজেদের পক্ষ থেকে সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়া হবে না।
সভা শেষে তিনি বরিশালে নির্মিত সাইলো পরিদর্শন করেন। এ সময় বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওছার, জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বয়ের মাধ্যমে চলতি আমন মৌসুমে খাদ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পরামর্শ দেন খাদ্য উপদেষ্টা।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য