আগামী ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রতিহতের ঘোষণা দেয়ায় জেলা বিএনপির সাবেক দুই শীর্ষ নেতাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত নোটিশ পান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন। নোটিশে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদেরকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্তমঞ্চে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে অনুষ্ঠিত জনসভায় জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রতিহতের ঘোষণা দেন দলটির কিছু নেতাকর্মী। বেশ কিছুদিন ধরেই বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির বিরোধিতা করে আসছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হকের নেতৃত্বাধীন একাংশের নেতাকর্মীরা।
নোটিশে বলা হয়, গত ৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জে একটি রেস্তোরাঁয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান, সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম, সদস্য হাফিজুর রহমান এবং জহিরুল হক খোকনের সমন্বয়ে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় উত্থাপিত দাবি বাস্তবায়নের আগেই সম্মেলন বিরোধী সমাবেশ করা হচ্ছে, যা সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপ। এ অবস্থায় হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও জহিরুল হকের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার যথাযথ কারণ দর্শিয়ে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিয়ে বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি জানান, কারণ দর্শানো নোটিশ পেয়েছি, এখানে সম্মেলন বিরোধী সমাবেশ হয়নি; জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ১৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে দলের একাংশের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, দীর্ঘ ১৭ বছর দলের আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নেয়া নির্যাতিত এবং ত্যাগীদের বাদ দিয়ে সম্মেলন করার অপচেষ্টা চলছে। এর আগে ২৮ ডিসেম্বর সম্মেলন হবার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১৮ জানুয়ারি করা হয়।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য