র্যাব পরিচয় দিয়ে জোরপূর্বক ফাঁকা জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে মানিক চক্রবর্তী নামের এক ব্যক্তিকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার দেউলবাড়ী ইউনিয়নের পাকুরিয়া গ্রামের আজিজুল হকের পুত্র ইমদাদুল হকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে ভুক্তভোগী মানিক চক্রবর্তী ১৬ জানুয়ারি নাজিরপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
ইমদাদুল হক ঢাকার তেজগাঁও থানার পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় চাকুরির সুবাদে বসবাস করেন। মানিক চক্রবর্তী একই ইউনিয়নের মৃত মেঘনাথ চক্রবর্তীর ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মানিক চক্রবর্তী জানান, ইমদাদুল তার পূর্ব পরিচিত। দীর্ঘদিন আগে 'জনকল্যাণ সমবায় সমিতি লিমিটেড' নামক একটি প্রতিষ্ঠানে তিনি বিভিন্ন মেয়াদে ৭ লক্ষ টাকার শেয়ার ক্রয় করে ঢাকায় চলে যান। ইমদাদুলের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় সমিতি থেকে লভ্যাংশের টাকা উত্তোলন করে তা ইমদাদুলের ব্যাংক ও বিকাশ অ্যাকাউন্টে জমা দিতেন।
বিগত ৯ জুন ২০২৩ তারিখে পিতৃশ্রাদ্ধ করতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড যাওয়ার পথে সায়েদাবাদ এলাকা থেকে ইমদাদুলসহ মো. সাঈমুল হাওলাদার (র্যাব-১০ ব্যাটেলিয়ন, মোবাইল নং: ০১৭৩৮৬০৮৬৩২) এবং মিঠু (ভাঙ্গা, ফরিদপুর, মোবাইল নং: ০১৯৬৩৭২৬৫৮৬) ও আরও অনেক লোকজন মানিক চক্রবর্তীকে আটক করে। অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ১০০ টাকার ৩টি নন-জুডিশিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। কিছুদিন পর ইমদাদুল বাড়িতে এসে মানিক চক্রবর্তীর জায়গা জমি দখলের চেষ্টা করেন।
পরবর্তীতে, গত ২২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে দেউলবাড়ী দোবরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয়ে বসে তিমির চক্রবর্তী, আব্দুর রহমান, সাফায়েত বেপারী এবং ইমদাদুলের ছোটভাই হাফিজুর রহমানদের নিয়ে চেয়ারম্যান ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করেন।
বর্তমানে ওই চক্র ভাড়াটিয়া লোকজন পাঠিয়ে মানিক চক্রবর্তীকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বলছে। এ নিয়ে গত ১২ জানুয়ারি নাজিরপুর থানায় ভুক্তভোগী একটি লিখিত অভিযোগও করেন।
এ বিষয়ে ইমদাদুল হকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। র্যাব পরিচয়দানকারী নাঈমুল হাওলাদারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নাজিরপুর থানাধীন বৈঠাকাটা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রাধে শ্যাম সরকার (আর এস সরকার) জানান, "এখানে অভিযোগ করেছে। উভয় পক্ষকে নিয়ে আমরা বসেছিলাম, কিন্তু আমরা কোনো সমাধানে আসতে পারিনি। তবে সমাধানের জন্য চেষ্টা চলছে।"
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য