গাইবান্ধায়

রঙিন মাছ চাষে সফল বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সাগর

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
রঙিন মাছ চাষে সফল বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সাগর

পানিতে খাবার দিতেই ভেসে ওঠে নানা রঙের মাছ। লাল, নীল, হলুদ, সাদা, কালো ও কমলা রঙের মাছের ছড়াছড়ি। বাহারি রঙের মাছ দেখে যে কারো চোখ জুড়িয়ে যাবে।

নাম মো. সাগর হোসেন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। বেকারত্ব দূর করতে অন্য দুই-চার জনের মতো বসে না থেকে, ইউটিউব দেখে নিজ বাড়ি সুন্দরগঞ্জের সরকারটারীতে মাত্র ৩ হাজার টাকা দিয়ে রঙিন মাছ চাষ শুরু করেন। প্রথম দিকে শখের বশে শুরু করলেও বর্তমানে তার এই মাছ চাষ থেকে প্রতি মাসে ৬০-৭০ হাজার টাকা আয় হয়। বর্তমানে তার ৮০ শতাংশ জমিতে ২০টি চৌবাচ্চা ও ৪টি পুকুরে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ রঙিন মাছ রয়েছে। তার এই রঙিন মাছ সৌখিন ক্রেতাদের জন্য রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, রাজশাহীসহ রাজধানী ঢাকায় পাঠানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাগরের রঙিন মাছ চাষ দেখে প্রথম অবস্থায় অনেকে হাসিঠাট্টা করলেও বর্তমানে তার সফলতা দেখে খুশি পরিবার ও স্থানীয় জনসাধারণ।

রঙিন মাছ চাষী সাগর হোসেন বলেন, "আমার পুকুরের পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছে নানা রঙের মাছ। লাল, নীল, কমলা, কালো, বাদামি, হলুদ রঙের মাছের ছড়াছড়ি। গোল্ড ফিশ, কমেট, কই কার্প, ওরেন্টা গোল্ড, সিল্কি কই, মলি, গাপটি, অ্যাঞ্জেল প্রভৃতি বর্ণিল মাছ দেখে চোখ জুড়ায়, মন ভরে যায়। আমি বর্তমানে ২০-২৫ প্রজাতির আকর্ষণীয় রঙিন মাছ চাষ করছি। এতে প্রতি মাসে ৬০-৭০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে রঙিন মাছ চাষকে আরও ব্যাপকভাবে প্রসার করার পরিকল্পনা রয়েছে।"

এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবদুর রাশেদ বলেন, "রঙিন মাছ চাষী এই উদ্যোক্তার প্রজেক্টে সার্বিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।"

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য