গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) ডা. আবদুল কাদের খান (৭৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) ভোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর ভাগিনা, গাইবান্ধার একটি বেসরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান।
তিনি জানান, কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খান ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। গত বছরের ৯ অক্টোবর কেরানীগঞ্জ কারাগারে ব্রেন স্ট্রোক করার পর তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৩ অক্টোবর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় এবং গত ১৫ জানুয়ারি লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। রোববার ভোর সাড়ে চারটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও একমাত্র পুত্র সন্তান রেখে গেছেন। উভয়েই চিকিৎসক।
প্রসঙ্গত:২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন নিহত হন। এ ঘটনায় তাঁর বড় বোন ফাহমিদা কাকলী বুলবুল সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়।
২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক কর্নেল (অব.) ডা. আবদুল কাদের খানসহ সাতজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এছাড়া লিটন হত্যার ঘটনায় দায়ের করা অস্ত্র মামলায় কাদের খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য