সন্দ্বীপে জামিনের টাকার দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের আঘাতে খুন হওয়া মো. জাহাঙ্গীর আলম আইয়ুব (৬২) হত্যা মামলার প্রধান আসামি বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিন সুমনকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) টিম-৭ পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
গত ২০ জানুয়ারি পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে গাছুয়া ইউনিয়নের দৈলার বাড়ির বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম আইয়ুবকে কথোপকথনের এক পর্যায়ে বহিষ্কৃত নেতা সাহাব উদ্দিন সুমন লোহার রড দিয়ে মাথার পেছনে আঘাত করেন। এতে জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলেই চিৎকার করে লুটিয়ে পড়েন। স্বামীর চিৎকার শুনে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই সাহাব উদ্দিন সুমন তার সহযোগীদের নিয়ে মোটরসাইকেলে করে জাহাঙ্গীরকে বাড়ি থেকে নিয়ে যান।
অবস্থা বেগতিক দেখে সাহাব উদ্দিন সুমন তাকে সন্দ্বীপ গাছুয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে পৌঁছে দেন এবং সেখান থেকে পালিয়ে যান। তবে হাসপাতালেই জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়। জাহাঙ্গীর আলম গাছুয়া ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী ছিলেন।
এ ঘটনার পরের দিন সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপি সাহাব উদ্দিন সুমনকে গাছুয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করে। একই দিন জাহাঙ্গীর আলমের স্বজনেরা সাহাব উদ্দিন সুমনকে প্রধান আসামি করে এবং আরও পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে সন্দ্বীপ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সন্দ্বীপ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, "র্যাবের সহযোগিতায় আমরা হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। ইতিমধ্যে তাকে সন্দ্বীপ থানায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে।"
মন্তব্য