জামালপুর শহরের পুরাতন পুলিশ লাইন মাঠে বসেছে এই মেলা। বিকাল থেকে নানা স্থান থেকে সেখানে ছুটে আসে মানুষ। আশপাশের পীচঢালা রাস্তা ধরে এগিয়ে চলা নারী, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী অধিকাংশ মানুষের গন্তব্য এই মিলনমেলা। এটিকে কেন্দ্র করে শহরজুড়ে উৎসবের আমেজ বইছে।
আয়োজনের কোনো কমতি নেই এই মেলায়। ৩০ দিনব্যাপী এই মেলায় নানা মিষ্টিজাতীয় খাবার, শিশুদের খেলনাসহ নানা পণ্যের পসরা সাজানো হয়েছে। মেলা আয়োজনে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের এলাকায়।
প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এসে ভিড় জমায়। সন্ধ্যার পর মেলায় তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকেও মেলার উৎসবে সামিল হয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে অনেকেই ছুটে আসেন। তারাই আসলে মেলাটির মূল ক্রেতা ও দর্শনার্থী। এ ছাড়া জামালপুর শহর, মেলান্দহ, ইসলামপুর উপজেলার দর্শনার্থীরাও এই মেলায় অংশ নেন।
মেলায় গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সের মানুষের ঢল নেমেছে। মিষ্টিজাতীয় খাবার, বিভিন্ন ধরনের পিঠা, মিঠাই-মিষ্টান্নসহ চটপটি-ফুচকা থেকে মুখরোচক নানা পদের খাবারের দোকানও আছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক আচারের দোকান রয়েছে, যেখানে উপচে পড়া ভিড়। খাবারের দোকানগুলোতেও ভালো বেচাকেনা হচ্ছে বলে জানান দোকানদাররা।
শিশুদের খেলনাসহ নানা পণ্যের দোকানও বসেছে মেলায়। এছাড়া মেলায় প্রসাধনী, খাবার, খেলনা, পোষাকের দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের তিন শতাধিক দোকান রয়েছে। প্রতিটি দোকানেও বেশ ভালো বেচাকেনা হচ্ছে বলে জানান দোকানদাররা।
শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে নাগরদোলা, চরকি, দোলনা সহ নানা আয়োজন। প্রতিদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ। শিশুদের সঙ্গে বড়রাও এসব আয়োজন উপভোগ করছেন সমানতালে।
মন্তব্য