পিরোজপুরের কাউখালীতে প্রতিবেশীর জমির উপর দিয়ে জোর করে অন্যায়ভাবে একটি রাস্তা তৈরির অভিযোগ উঠেছে এক সেনা সদস্যের পরিবারের বিরুদ্ধে। এর আগে ভুক্তভোগী একটি পরিবারের সকল সদস্যকে মামলায় আসামি করে তাদেরকে এলাকা ছাড়া করা হয়েছে এবং জমির অন্য শরিকদেরও মামলায় আসামি করার ভয়ভীতি দেওয়া হচ্ছে।
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের ফলইবুনিয়া গ্রামের চার বাসিন্দা মোশারেফ সিকদার, আব্দুল হালিম সিকদার, মজিদ সিকদার এবং সালাম সিকদার। ওই গ্রামেরই রাস্তার পাশের চার কাঠার একটি প্লটের মালিক তারা চারজন। দীর্ঘদিন ধরে জমিটি আড়াআড়িভাবে ভাগ করে এর ওয়ারিশরা ভোগদখল করে আসছিল। তবে সম্প্রতি সালাম সিকদার তার জমিতে একটি পাকা ভবন তৈরি করলে শুরু হয় বিপত্তি। ঘরের সামনে থেকে একটি সংযোগ রাস্তা নির্মাণের জন্য অন্য তিনজনের জমি কিনতে চাইলে তারা জমি বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানায়। তার একজন ছেলে মিরাজ সেনাবাহিনীতে সার্জেন্ট পদে এবং আরেক ছেলে সবুজ পুলিশে কর্মরত। এরপর তারা ওই জমির উপর থেকে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের প্রস্তুতি নেয়। তাতে সফল না হলে সালাম সিকদার গ্রহণ করেন ভিন্ন প্রক্রিয়া প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ফলে পানি গড়াতে থাকে ভিন্ন পথে।
গত ১৯ জানুয়ারি ভোররাত ৩টার দিকে সার্জেন্ট মিরাজ আহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার পিতা সালাম সিকদার বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় ওই জমির অংশীদার হালিম সিকদার সহ তার ১০ স্বজনকে ও অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। এরপর অভিযুক্তদের মধ্য থেকে চারজনকে আটক করা হয়। ফলে আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ওই পরিবারের সকল সদস্য এবং ওই জমির অন্যান্য ওয়ারিশরা। একজন মেয়ে শিক্ষার্থীকে আসামি করায় দিতে পারেনি কলেজের পরীক্ষা। হালিম সিকদারের মেয়ে বলেন, মিথ্যে মামলায় আসামি করে এই সুযোগে তারা গাছপালা কেটে জায়গা দখল করে রাস্তা বানিয়ে নেয়। আতঙ্কে পালিয়ে বেড়ানোর সুযোগে মিরাজের ভাই লোকজন নিয়ে ঘর খালি পেয়ে লুটপাট করে সবকিছু নিয়ে যায়।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোলায়মান বলেন, প্রতিবেশী অবৈধভাবে গাছ কেটে রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগে গত ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে হালিম সিকদার নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে পিরোজপুর জেলার কাউখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলছে।
মন্তব্য