-->
শিরোনাম

অল্পবয়সি সুন্দরীরা পাচারের টার্গেট

নিজস্ব প্রতিবেদক
অল্পবয়সি সুন্দরীরা
পাচারের টার্গেট

মানব পাচারকারী চক্রের টার্গেট দরিদ্র ও অল্পবয়সী সুন্দরী মেয়েরা। পাচারকারীরা বিদেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সহজ সরল মেয়েদের ফাঁদে ফেলে নিয়ে যাচ্ছে অন্ধকার জগতে। র‌্যাব বলছেন, পাচারকারীদের জালে জড়িয়ে অবৈধ পথে বিদেশে পাড়ি দিতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছে এসব মানুষ। যাদের অধিকাংশই নারী। অল্পবয়সী এসব নারীদের লোভনীয় চাকরির কথা বলা হয়। এরপর বিদেশে নিয়ে দালাল চক্রের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, জোরপূর্বক সম্পৃক্ত করা হয় ডিজে পার্টি, দেহ ব্যবসাসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে।

রাজধানীর বিমানবন্দর থানা এলাকা থেকে আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের ৩ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তারসহ ৩ নারী ভিকটিমকে উদ্ধার করে র‌্যাব-১। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মো. আজিজুল হক (৫৬), মো. মোছলেম উদ্দিন ওরফে রফিক (৫০) ও মো. কাউছার (৪৫)। গতকাল সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) র‌্যাব-১ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন এ তথ্য জানান। এসময় তিনি বলেন, গত ১৩ ফেব্রæয়ারি রাত ৮ টার দিকে র‌্যাব-১ ঢাকা বিমানবন্দর থানাধীন মনোলোভা রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩টি পাসপোর্ট, ৩টি মোবাইল ফোন, ২৭ হাজার টাকা ও ৩ জন নারী ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থানরত মহিউদ্দিন (৩৭) ও শিল্পী (৩৫) এর পরিকল্পনা আর নেতৃত্বে এই ঘৃণ্য অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে। মহিউদ্দিন এর সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের যোগসাজশের প্রমাণ পাওয়া গেছে। পলাতক আসামি নূরনবী ওরফে রানা (৩৫) এবং মনজুর হোসেন (৩৩) এই চক্রের ঢাকা অঞ্চলের হোতা। মো. আজিজুল হক পাচারকারী চক্রের অন্যতম সমন্বয়ক। আটক আসামি আজিজুল হকের মাধ্যমে মহিউদ্দিন ভিকটিমদের বিদেশে যাওয়ার খরচের টাকা পাঠাত। পলাতক আসামি তাহমিনা বেগম (৪৮) এবং আটক আসামি রফিক ও কাউছার কমবয়সী সুন্দরী মেয়েদের টার্গেট করত। তারপর বিভিন্ন কোম্পানি ও গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এসব মেয়েদেরকে বিদেশ গমনে প্রলুব্ধ করে। কোনো তরুণী বিদেশ গমনে রাজি না হলে তাদের হুমকি দেয়া হয়। এ ছাড়াও এই চক্র প্রবাসগমনে ইচ্ছুক অনেক পুরুষ ভিকটিম থেকেও বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে।

আটক আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, এখন পর্যন্ত তারা প্রায় ৮০ জন নারীকে এভাবে বিদেশে পাচার করেছে। র‌্যাব এই দুর্ভাগা নারীদেরকে উদ্ধারে এবং অন্যান্য অপরাধীদেরকে গ্রেপ্তারে সচেষ্ট রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

প্রসঙ্গত, এ পর্যন্ত র‌্যাব-১ আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের বিদেশি নাগরিকসহ অসংখ্য চক্রের সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনেছে। এ চক্রের কাছ থেকে প্রাপ্ততথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১ গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।

মন্তব্য

Beta version