নিয়মকে অনিয়মে পরিণত করে দালাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিয়মকে অনিয়মে পরিণত করে দালাল

রাজধানীতে ভুয়া পুলিশ ভেরিফিকেশনসহ বিভিন্ন জালিয়াতির মাধ্যমে পাইয়ে দেওয়ার রমরমা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত দালাল চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। যারা নিজেদের পরিচয় দিত বাংলাদেশ রোড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) কর্মকর্তা হিসেবে।

ডিবি জানায়, নিয়মকে অনিয়মে পরিণত করে এই দালাল চক্র। বিআরটিএর কিছু অসাধু কর্মকতার সঙ্গে যোগসাজশ করে কোনো প্রকার প্রশিক্ষণ ছাড়াই অদক্ষ ড্রাইভারদের ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করে দিত। এর ফলে লাইসেন্স পাচ্ছে অদক্ষ ড্রাইভার, দিন দিন বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যা।

গত ১৪-১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বুধবার দুপুর ১১টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. লিটন পাইক, সুজন পাইক, মো. হাসান শেখ ওরফে আকচান, মোহাম্মদ আলী ওরফে মিস্টার, মো. আব্দুল খালেক, মো. আব্দুল্লাহ রনি, মো. সোহেল রানা, মো. সোহাগ, মো. নুরনবী ও মো. হুমায়ুন কবির।

এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন ফাইল, শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন ফরম, ডোপ টেস্ট ফাইল, ২টি মনিটর, ২টি সিপিইউ, ২টি কিবোর্ড, ১টি কালার প্রিন্টার, লেমিলেটিং মেশিন ১টি, ভিজিএ কেবল ২টি, পাওয়ার কর্ড ২টি, ২টি নোকিয়া মোবাইল, ২টি স্যামসাং ডুয়েস, ১টি ওয়ালটন মোবাইল, ৬টি সিল, ৪টি নোকিয়া কি-প্যাড মোবাইল, বিভিন্ন মডেলের ৪টি স্মার্ট ফোট উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, দেশে বেশ কয়েকটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। যেখানে বেরিয়ে আসে চালকদের অদক্ষতা, অসাধু উপায়ে খুব সহজেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার বিষয়গুলো। এরপর বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনাগুলোর তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীতে বাংলাদেশ রোড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) ভুয়া অফিস পরিচালনাকারী একটি চক্রের সন্ধান পায় গোয়েন্দা পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার রাজীব আল মাসুদের নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার হাসান আরাফাতের তত্ত্বাবধানে এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার মধুসূদন দাসের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম বিশেষ অভিযানটি পরিচালনা করে।

 

মন্তব্য