-->
অর্থ আত্মসাৎ মামলায় দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আমজাদ চৌধুরী বিমানবন্দরে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে

চট্টগ্রাম ব্যুরো
আমজাদ চৌধুরী বিমানবন্দরে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে
আমজাদ হোসেন চৌধুরী

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ মামলায় দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দুবাই পালিয়ে যাওয়ার সময় বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মো. আমজাদ হোসেন চৌধুরীকে। তিনি বিএনপির কারাবন্দি নেতা কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর ভাই।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এরপর রাতেই তাকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতের নির্দেশে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ আমজাদ হোসেন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে। এরপর রাত এগারটার দিকে থানায় কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। শুক্রবার চট্টগ্রাম সিএমএম আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

ওসি জানান, আমজাদ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় ১৫টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এতদিন তিনি ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে ছিলেন। দুদকের দুটি মামলায় তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ছিল।

দুদক সূত্রে জানা যায়, আমজাদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৬ জুলাইয়ে এবি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার ৩২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ওই মামলায় আমজাদ ছাড়াও তার ভাই বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী, আসলাম চৌধুরীর স্ত্রী জামিলা নাজনিল মাওলাকে ও ছোট ভাই জসিম উদ্দিন চৌধুরীকেও আসামি করা হয়। মূলত তাদের পারিবারিক ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান রাইজিং স্টিল মিল লিমিটেডের নামে ঋণপত্র খুলে তারা এ পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে। এছাড়াও তাদের নামে হালি শহরের সাউথ ইস্ট ব্যাংকের ১৪৮ কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর হালিশহর থানায় আরেকটি মামলা করা হয় দুদকের পক্ষ থেকে।

এমন অর্থ আত্মসাতসহ ১৫টি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি আমজাদ হোসেন চৌধুরী। যার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই ১৫টি ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে। কিন্তু এতদিন তিনি পলাতক ছিলেন। সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ের মানিলন্ডারিং শাখা থেকে আমজাদ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সব বিমানবন্দরে চিঠি দেয় দুদক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক শেখ গোলাম মাওলা বলেন, ‘দুদকের করা ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ মামলায় আমজাদ হোসেনের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এ কারণে আমজাদ হোসেন চৌধুরীকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।’

মন্তব্য

Beta version