রাজধানীর কাফরুলে শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলায় শওকত আলম (৬০) নামে এক গৃহশিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মামলার
তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার উপ-পরিদর্শক হোসনে আরা আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর
হাকিম মামুনুর রশীদ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কাফরুল থানার (নারী-শিশু) আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মকবুলুর রহমান ভোরের আকাশকে
বলেন, ‘এ সময় আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। অভিযুক্ত ব্যক্তি অগ্রণী ব্যাংকের মিরপুর শাখার একজন কর্মকর্তা। তার স্ত্রী-সন্তান গ্রামের বাড়িতে থাকে।’
জানা যায়, শনিবার রাতে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীকে গৃহশিক্ষক বাসার ড্রয়িংরুমে পড়াতে বসেন। শিশুটির মা তখন অন্য রুমে ছিল। কিছুক্ষণ পর শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে তার
মায়ের কাছে আসে। সে সময় তার গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। কারণ জানতে চাইলে সে তখন ওই শিক্ষকের যৌন নির্যাতনের কথা জানায়। পরে রাত দেড়টার দিকে শিশুটিকে
চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢামেক পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে
ঢাকা মেডিক্যালে আনার পর চিকিৎসা শেষে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
মন্তব্য