গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আজিজুল হক রানা ওরফে শাহনেওয়াজ ওরফে রুমানকে (৪৪) জিজ্ঞাসাবাদ করতে চার দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
২ মার্চ বুধবার মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মামুনুর উর রশিদ আসামিকে আদালতে হাজির করে দশ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. রশিদুল আলম আসামিকে মামলার তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চারদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
তবে এদিন আসামিপক্ষে আদালতে কোন আইনজীবী ছিলেন না।
গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কোটালীপাড়ায় বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফায়ারিং স্কোয়াডের সদস্য ছিলেন আজিজুল হক। ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ এ তথ্য জানায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১ মার্চ সকাল সাড়ে ১০ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ‘হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ (হুজি,বি)’-এর কতিপয় সদস্য সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পরিচালনার ব্যাপারে পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে যোহরের নামাজের পর খিলক্ষেত থানাধীন আমতলাস্থ হাজিবাড়ি রোডের বায়তুস সালাম জামে মসজিদে (হাজীবাড়ি অস্থায়ী মসজিদ) গোপন বৈঠকে মিলিত হবে। এ খবর পেয়ে ওই এলাকায় অবস্থান করে গোপনে ঘটনার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন পুলিশ। এসময় সন্দেহভাজনরা পুলিশ দেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে তাদের মধ্য থেকে একজনকে আটক করা হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানান, তারা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ (হুজি-বি) সক্রিয় সদস্য এবং সমর্থক।
এরপর রানার প্রকৃত পরিচয় ও প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টায় তার সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে অবগত হয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা: ২১ বছর ছদ্মবেশে থাকার পর ধরা
মন্তব্য