-->

বিস্ফোরক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হুজিবির সংগঠক গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিস্ফোরক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত
হুজিবির সংগঠক গ্রেপ্তার
শরিফুজ্জামান ওরফে মিন্টু

বিস্ফোরক আইনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজিবি) সংগঠককে গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শরিফুজ্জামান ওরফে মিন্টু ওরফে ওবায়দুল্লাহ ওরফে মাহি ওরফে শরিফ।

শুক্রবার (১১ মার্চ) সকালে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এটিইউ বলছে, শরিফ ২০১৩ সালে তুরাগ থানায় বিস্ফোরক আইনে হওয়া মামলায় ১০ বছর ৬ মাস কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।

এটিইউর পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ার্নেস) মোহাম্মদ আসলাম খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৩ সালে ৭ অক্টোবর তুরাগ থানাধীন আশুলিয়া বাইপাইল রোডে অভিযান চালিয়ে হুজিবির সংগঠক খলিলুর রহমান শাহরিয়ার, মো. আ. কাদের মুয়াক্ষের, মো. মাকছুদুর রহমান ও শরিফকে (গতকাল গ্রেপ্তার) গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় তাদের কাছ থেকে একটি ম্যাগাজিনসহ পিস্তল, ৩২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ১ হাজার ১৩৫টি এসএমজির গুলি, ২টি ১ হাজার ৫০০ গ্রাম ওজনের উচ্চ বিস্ফোরক, ১১০ ফিট কর্ডেক্স, ৫টি ডিটোনেটর, একটি ব্লাস্টিং মেশিন ও ৮টি ককটেল। তাদের মধ্যে খলিলুর রহমান শাহরিয়ার হুজিবির পলাতক কেন্দ্রীয় নেতা ও হুজিবির পরিবর্তিত সংগঠন তামিরুত-আত-দীনের প্রধান সংগঠক ছিলেন।

শরিফ হুজিবির পরিবর্তিত সংগঠনে অর্থ সম্পাদক হিসেবে কাজ করতেন। জব্দ করা অস্ত্র ও গোলাবারুদ তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের সংগঠকদের মধ্যে বিতরণ ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য এনেছিল। গ্রেপ্তারের পরের দিন ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর তুরাগ থানায় তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন ও অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়।

আসামিদের মধ্যে শরিফ আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে পলাতক হয়ে দীর্ঘদিন উত্তরা পশ্চিম থানাধীন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেন এবং ফ্রি-ল্যান্সিং করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। তিনি তার স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাধীন এলাকায় বসবাস করতেন। তাকে আদালতে সোপর্দ করার কাজ প্রক্রিয়াধীন বলে জানান এটিইউ কর্মকর্তা।

মন্তব্য

Beta version