-->
শিরোনাম

দুলাভাইয়ের বাসায় শ্যালক-শ্যালিকার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
দুলাভাইয়ের বাসায় শ্যালক-শ্যালিকার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন

রাজধানীর আদাবর সুনিবিড় হাউজিংয়ের একটি বাসায় দুই শিশুর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহতাবস্থায় ওই দুই শিশু মিতু (৮) ও বাপ্পিকে (৫) উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বেলা ১১টায় আদাবরের সুনিবিড় হাউজিংয়ের ফার্ম গলির ২১৫ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পাশের দোকানদার মো. আরিফ হোসেন জানান, দুপুরে হাউজিংয়ের দোতলা বাড়িটির নিচতলার রুম থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন তিনি। পরে শিশুদের আর্ত চিৎকার শুনতে পান। তখন রুমের বাইরের ছিটকিনি খুলে ভেতরে ঢুকে তাদের শরীরে আগুন জ্বলতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তাদের বের করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পরে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান।

চিকিৎসাধীন শিশু বাপ্পি জানায়, গতকাল সকালে দুলাভাই আলাউদ্দিন তাদের দুজনকে ওই বাসাটিতে নিয়ে যায়। ওই বাসায় থাকতেন তাদের ভগ্নিপতি আলাউদ্দিন ও বোন মৌ। ঘটনার সময় মৌ বাসায় ছিলেন না। দুলাভাই আলাউদ্দিন রুমের ভেতর তাদের আটকে প্রথমে মিতুর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। পরে বাপ্পির শরীরেও আগুন দিয়ে দরজা বাইরে থেকে আটকে চলে যায়।

বাড়িটির মালিক আ. মালেক জানান, নিচতলার একটি কক্ষে আলাউদ্দিন ও তার স্ত্রী মৌ থাকেন। শিশুদের কখন ওই বাসায় নিয়ে গেছেন তা তিনি দেখেননি। ঘটনার পর আলাউদ্দিনকেও কেউ খুঁজে পাচ্ছেন না। আব্দুল মালেক বলেন, ওই শিশুদের বোন বাসা বাড়িতে কাজ করেন। আর তার স্বামী আলাউদ্দিন পেশায় রিকশাচালক। ঘটনার সময় শিশুদের বোন মৌ বাসায় ছিলেন না।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, শিশু মিতুর শরীরের ৯৮ শতাংশ ও বাপ্পির দুই হাতে ৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। মিতুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে আদাবর থানার ওসি কাজী শাহেদুজ্জামান জানান, সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় দুই শিশু দগ্ধের ঘটনা পুলিশ জানতে পেরেছে। বিস্তারিত জানার জন্য ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরো জানান, শিশু দুটির দুলাভাই আগুন দিয়েছে বলে আমরা শুনেছি। ঘটনা সম্পর্কে এখনো কিছুই জানা যায়নি। শিশুদের বাবা বাবলু তালুকদার গ্রামে থাকেন। আর মা আকলিমা ঢাকাতেই থাকেন। তবে কোন এলাকায় থাকেন, সেই বাসার ঠিকানা বলতে পারেনি তারা।

মন্তব্য

Beta version