-->
শিরোনাম

দুলাভাইয়ের দেওয়া আগুনে জীবন প্রদীপ নিভে গেল শিশু মিতুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
দুলাভাইয়ের দেওয়া আগুনে জীবন প্রদীপ নিভে গেল শিশু মিতুর

দুলাভাইয়ের দেওয়া আগুনে জীবন প্রদীপ নিভে গেল আট বছরের শিশু মিতুর (৮)। গত শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।

গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর আদাবরে সুনিবিড় হাউজিংয়ের ফার্ম গলির ২১৫ নম্বর বাড়িতে মিতু ও তার ভাই বাপ্পীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন দুলাভাই আলাউদ্দিন। ঘটনার পরদিন ঢাকার সাভার থেকে আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. আবদুল খান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ময়নাতদন্তের জন্য শিশু মিতুর মৃতদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মিতুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পাশের দোকানদার মো. আরিফ হোসেন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে হাউজিংয়ের দুইতলা বাড়িটির নিচতলার রুম থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন তিনি। পরে শিশুদের ডাকচিৎকার শুনতে পান। তখন রুমের বাইরের ছিটকিনি খুলে ভেতরে ঢুকে তাদের শরীরে আগুন জ¦লতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তাদের বের করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পরে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।

চিকিৎসাধীন শিশু বাপ্পি জানায়, ওই দিন সকালেই ভগ্নিপতি আলাউদ্দিন তাদের দুজনকে ওই বাসায় নিয়ে যায়। ওই বাসায় থাকত তাদের ভগ্নিপতি আলাউদ্দিন। রুমের ভেতর তাদের আটকে প্রথমে মিতুর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। পরে বাপ্পির শরীরেও আগুন দিয়ে দরজা বাইরে থেকে আটকে চলে যায় আলাউদ্দিন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, শিশু মিতুর শরীরের ৯৮ শতাংশ ও বাপ্পির দুই হাতে ৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। নিহত মিতু ভোলার বোরহানউদ্দিনের বাবুল তালুকদারের মেয়ে। মিতুর বাবা গ্রামের বাড়িতে কৃষিকাজ করেন। তার মা ঢাকায় বাসাবাড়িতে কাজ করেন। চার ভাইবোনের মধ্যে মিতু ছিল চতুর্থ।

মন্তব্য

Beta version