-->
শিরোনাম

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যার আসামি আশিষ রায় গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যার আসামি আশিষ রায় গ্রেপ্তার
আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী

চাঞ্চল্যকর চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় পলাতক ও চার্জশিটভুক্ত এক নম্বর আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। দীর্ঘ ২৪ বছর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিযানে থাকা র‍্যাবের একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা। পরে র‌্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংও এ তথ্য নিশ্চিত করে।

রাত সোয়া ১২টায় ওই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার আশিয় রায় চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তার বাসায় তল্লাশি চলছে। অবৈধ কিছু পাওয়া গেলে সেগুলো জব্দ করা হবে।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর গুলশানের ২৫/বি ফিরোজা গার্ডেন নামের একটি বাসায় ওই অভিযান চালানো হয়।

আশিস রায় চৌধুরীর বাসা থেকে উদ্ধার করা মদের বোতল।

 

র‍্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, রাতে রাজধানী গুলশানের ২৫/বি ফিরোজা গার্ডেন নামের একটি বাসা ঘিরে রাখা হয়। ওই বাসায় চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার পলাতক ও চার্জশিটভুক্ত এক নম্বর আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী রয়েছে বলে গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়।

এরপর সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ওই বাসায় তাকে পাওয়া যায়। সেখানে এখনো অভিযান চলছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়।

চিত্রনায়ক চোহেল চৌধুরী। দুই যুগ আগে গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে। (ফাইল ছবি)

 

ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় ভেতরে ঢুকতে তাকে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান। আসামিদের মধ্যে আদনান খুনের পরপরই ধরা পড়েছিলেন।

এ মামলায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেন। সেসময় আশিস ওরফে বোতল চৌধুরীর নাম চার্জশিটে উঠে আসে।

১৯৮৪ সালে এফডিসির নতুন মুখের সন্ধানে নামের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন সোহেল চৌধুরী। ওই একই প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন তার স্ত্রী দিতিও।

 

 

মন্তব্য

Beta version