গ্রেপ্তার এড়াতে দীর্ঘ ১৮ বছর চার জেলায় বিভিন্ন নামে ছদ্মবেশ ধারণ করে পালিয়ে ছিলেন ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আ. মান্নান। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব-৪ এর মিডিয়া কর্মকর্তা সিনিয়র এএসপি (মিডিয়া) জিয়াউর রহমান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল রাত সাড়ে ৩টার দিকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আ. মান্নান (৪৫)’কে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানাধীন আরুয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন।
ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে র্যাবের এই কর্মকর্তা আরো বলেন,গত ২৮ এপ্রিল ২০০৩ রাত সাড়ে ১২টার দিকে এজাহার নামীয় আসামী আ. মান্নানসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জন ভুক্তভোগীর (১৮) ঘরে প্রবেশ করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
যার প্রেক্ষিতে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানায় মামলা করা হয়। পরবর্তীতে আদালত মামলার বিচারকার্য শেষে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৪ আসামীদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১ বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে।
উক্ত ঘটনার পর থেকে এজাহার নামীয় আসামী আ. মান্নান পলাতক। আসামীর বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক দায়েরকৃত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানা ধৃত আসামী আ. মান্নান নিজেকে আত্মগোপন করার জন্য ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতো।
পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে পুনরায় ৬ এপ্রিল ২০২২ আসামী মান্নান ও লুৎফর প্রামানিকদ্বয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা দেয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় গ্রেপ্তারকৃত আসামী আ. মান্নান বিগত ১৮ বছর ধরে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রথমে ঢাকার গাবতলী, বেড়িবাঁধ এবং পরে গাজীপুর, রাজবাড়ী, ও মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানাধীন প্রত্যন্ত চর এলাকায় আত্মগোপনে ছিল।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য