রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজ ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাণ হারানো নাহিদ হাসান (১৭) মাত্র ছয় মাস আগেই বিয়ে করেছিলেন। এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগনালে একটি কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানিতে চাকরি করতেন তিনি। ছাত্র কিংবা নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী না হয়েও কেবল পেশাগত কাজে যোগ দিতে এসে ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারালেন তিনি।
ছেলেকে হারিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তার বাবা নাদিম হোসেন।
তিনি জানান, তাদের বাড়ি ঢাকার কামরাঙ্গীরচর দেওয়ানবাড়ী এলাকায়। এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগনালে একটি কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানিতে চাকরি করতো তার ছেলে নাহিদ। সকাল ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে কাজে যায় তার ছেলে। এরপর দুপুর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। বিকেলে ফেসবুকে তার আহত হওয়ার ছবি দেখতে পান তারা। এরপর তারা ছেলের খোঁজ করতে গিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে খুঁজে পান।
তার স্ত্রীর নাম ডালিয়া। তিনি জানান, নিউমার্কেট এলাকায় রাতে (সোমবার রাতে) ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ছাত্রদের যে সংঘর্ষ হয় সে কথা জানতেন না তার স্বামী। সকালে তিনি নিয়মমতো কাজে যোগ দিতে আসেন। এরপর কিভাবে কী হয়ে গেল তারা কিছুই জানেন না। দুপুর থেকে তার ফোন বন্ধ পাচ্ছিলেন। এরপর ফেসবুকে দেখেন তার স্বামীর ছবি।
নিহত নাহিদের পরিবার সূত্র জানিয়েছে, তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় ছিল সে। তাকে হঠাৎ করে হারিয়ে অথৈ সাগরে পড়েছেন তারা।
আগের সংবাদ: ব্যবসায়ী-ছাত্রদের সংঘর্ষে প্রাণ গেল কুরিয়ার সার্ভিস কর্মীর
মন্তব্য