রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষে আহত দোকান কর্মচারী মোরসালিনকেও বাাঁচানো যায়নি। ২৬ বছর বয়সী এই যুবক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) ভোররাত ৪টা ৩৬ মিনিটে মারা গেছেন।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া। মোরসালিনের শ্যালক ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবারের সংঘর্ষে আহত হয়ে সেদিনই মারা যান নাহিদ (১৭) নামে এক কিশোর। এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগনালে একটি কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানিতে চাকরি করতেন তিনি। ছাত্র কিংবা নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী-কর্মচারী না হয়েও কেবল পেশাগত কাজে যোগ দিতে গিয়ে ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারান তিনি।
গত মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সংঘর্ষের সময় নুরজাহান মার্কেটের সামনে ইটের আঘাতে আহত হয়েছিলেন মোরসালিন। দুই যুবক অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করেন।
মোরসালিনের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার কালাই নগর গ্রামে। তার বাবার প্রয়াত মো. মানিক মিয়া। রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর পশ্চিম রসুলপুরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন তিনি। তার দুই মেয়ের নাম সুমাইয়া ইসলাম লামহা (৭) ও আমির হামজা (৪)।
মোরসালিনের স্ত্রী অনি আখতার মিতু জানান, নিউমার্কেটে একটি শার্টের দোকানে চাকরি করতেন তার স্বামী। মাসে ৯ হাজার টাকা বেতন পেতেন। সে টাকা দিয়েই তাদের সংসদ চলত। মঙ্গলবার সকালে কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষ হয়। দিবাগত রাত ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনভর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়।
মন্তব্য