রাজধানীসহ সারাদেশে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। আগামি দুই সপ্তাহ এ অভিযান পরিচালনা করা হবে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও এ অভিযানে পরিচালনা করবে।
মহান বিজয় দিবস, বড়দিন ও থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে করার লক্ষ্যে সারাদেশে বিশেষ এ অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা দেয় পুলিশ সদর দপ্তর।
২৯ নভেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের অপারেশন শাখার পাঠানো এক আদেশ অনুসারে, দেশের সব পুলিশ ইউনিটের প্রধান ও সব জেলার পুলিশ সুপারদের ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযান চালাতে বলা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, গত ২০ নভেম্বর ঢাকা সিএমএম আদালত এলাকায় পুলিশ হেফাজত থেকে দন্ড প্রাপ্ত ২ জঙ্গি আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার প্রেক্ষাপট বিবেচনা ও মহান বিজয় দিবস, বড়দিন এবং থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে করার লক্ষ্যে চলমান অভিযানের পাশাপাশি আগামী ১-১৫ ডিসেম্বর বিশেষ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে আরো বলা হয়, অন্যান্য স্থানের পাশাপাশি আবাসিক হোটেল, মেস, হোস্টেল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টারসহ অপরাধীদের লুকিয়ে থাকার সম্ভাব্য স্থানগুলোতে কার্যকর অভিযান পরিচালনা করতে হবে। পরিচালিত অভিযানে জঙ্গি, সন্ত্রাসী, মাদকসেবী ও কারবারি, অবৈধ অস্ত্রধারী, পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতার, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া আ্যন্ড পিআর) মো. মনজুর রহমান বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসসহ ডিসেম্বরের গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানগুলোকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য এ নির্দেশ দেওয়া হয়। সারাদেশে বিশেষ অভিযান পরিচালনারও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জঙ্গি, সন্ত্রাসী, মাদকসেবী-কারবারি, অবৈধ অস্ত্রধারী, পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতার, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের উপ-পুলিশ কমিশনার ফারুক আহমেদ বলেন, পুলিশ, সদরদপ্তরের নির্দেশনার আলোকে ডিএমপিতেও পুলিশ বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। ইতিমধ্যে নির্দেশনার চিঠি আট বিভাগের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রোববার থেকে থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির পাশাপাশি মাদক উদ্ধারও রয়েছে। আমরা এ লক্ষে পুরো থানায় গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে তথ্য নেয়া হয়েছে। সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আমরা এ অভিযান পরিচালনা করবো।
শাহআলী থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের থানা এলাকায় আগে গোয়েন্দা তথ্য নেয়া হয়েছে। সেই তথ্যের আলোকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
রামপুরা থানার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা আমাদের থানা এলাকায় অভিযান শুরু করেছি। এ অভিযানে থানা পুলিশের বিশেষ টিমও অংশ নিচ্ছে। পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের পাশাপাশি মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানসহ অন্যান্য মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
র্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালকব খন্দকার আল মঈন বলেন, পুলিশের পাশাপশি র্যাবও এ অভিযানে পরিচালনা করছে। র্যাবের সারাদেশের ব্যাটালিয়নকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য