-->
শিরোনাম
সীতাকুণ্ডের কারখানায় বিস্ফোরণ

সন্টুর কোমরে দড়ি বাঁধায় এসআই ক্লোজড

চট্টগ্রাম ব্যুরো
সন্টুর কোমরে দড়ি বাঁধায় এসআই ক্লোজড

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ওই কারখানার পরিচালক পারভেজ উদ্দিন সন্টুকে কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে হাজির করায় শিল্পপুলিশের এক সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে। অরুণ কান্তি বিশ্বাস নামে শিল্পপুলিশের ওই এসআইকে সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর আদেশ দেয়া হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম শিল্পপুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সুলাইমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার শিল্পপতি সন্টুকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নেয়ার ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় এসআই অরুণ কান্তি বিশ্বাসকে ক্লোজ করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। যদি এ বিষয়ে সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া না যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

 

এদিকে, সীমা অক্সিজেন কারখানার মালিক শিল্পপতি সন্টুকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে হাজির করার ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এরপর শিল্পপুলিশের পক্ষ থেকে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।

 

এর আগে, গত মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে হোটেল পেনিসুলার সামনে থেকে সীমা অক্সিজেন কারখানার পরিচালক সন্টুকে গ্রেপ্তার করে শিল্পপুলিশ।

 

চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক জাকির হোসাইন মাহমুদ বলেন, ‘সীমা অক্সিজেন কারখানার পরিচালক পারভেজ উদ্দিন সন্টুকে বুধবার আদালতে সোপর্দ করে শিল্পপুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমীর আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’

 

চট্টগ্রাম শিল্পপুলিশের এসপি বলেন, ‘সীমা অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় করা মামলাটি শুরু থেকে তদন্ত করে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ। গত ১৩ মার্চ শিল্পপুলিশ এ মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। মামলার তদন্তভার নেয়ার পরদিন ১৪ মার্চ এ মামলার অন্যতম আসামি পারভেজ উদ্দিন সন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

 

সীতাকুণ্ড থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সীমা অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় করা মামলাটি তদন্ত করছে শিল্পপুলিশ। ১৩ মার্চ শিল্পপুলিশের কাছে মামলাটি হস্তান্তর করা হয়।’গত ৪ মার্চ সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণে সাতজন নিহত হন। আহত হন ৩০-৩৫ জন। এ ঘটনায় কারখানার শ্রমিক মো. কাদের মিয়ার স্ত্রী রোকেয়া বেগম গত ৬ মার্চ রাতে ১৬ জনের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেন।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version