-->
শিরোনাম

কনস্টেবল মনিরুজ্জামান হত্যায় ৪ জন গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
কনস্টেবল মনিরুজ্জামান হত্যায় ৪ জন গ্রেপ্তার

রাজধানীর ফার্মগেটে ছুরিকাঘাতে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল মনিরুজ্জামান তালুকদারকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আসামিদের মধ্যে একজন প্রাথমিকভাবে হত্যাকান্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছে।

 

রোববার সকালে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানান ডিবি তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. গোলাম সবুর। তবে প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তারকৃতদের বিস্তারিত নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।

 

ডিসি গোলাম সবুর জানান, কনস্টেবল মনিরুজ্জামানকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে।

 

তাদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। গ্রেপ্তার হওয়া চারজন ছিনতাইকারী কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এমনটিই মনে হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুরো বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

 

এর আগে শনিবার ভোরে ফার্মগেট সেজান পয়েন্টের সামনে ছুরিকাঘাতে মারা যান কনস্টেবল মনিরুজ্জামান। গ্রামের বাড়ি শেরপুরে ঈদের ছুটি কাটিয়ে সকালে ঢাকায় ফেরেন তিনি। ট্রেনে করে ঢাকায় এসে তেজগাঁও রেলস্টেশনে নেমে পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ফার্মগেটের সেজান পয়েন্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

 

ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে হত্যার এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, দুই ব্যক্তি পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামানকে ঘিরে ধরে। তার কাছে থাকা মালামাল নিতে গেলে তিনি বাধা দেন।

 

এ সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তার বুকে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। একই দিন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামানের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে মরদেহ নিহতের স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দিলে তার গ্রামের বাড়ি শেরপুরের শ্রীবরদীর করুয়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। মনিরুজ্জামানের স্ত্রী, দুই ছেলে সন্তান ও মা-বাবা আছেন।

 

তার বাবার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা কাশেম তালুকদার। মনিরুজ্জামান পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। মনিরুজ্জামান ২০০২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে পুলিশ বাহিনী যোগদান করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডিএমপির তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

 

শনিবার ভোর ৪টা ১৬ মিনিটে সেজান পয়েন্টের সামনে একজনকে ছুরিকাঘাতের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version