পারিবারিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে আপন বড় ভাইকে হুমকি দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বোন মুর্শিদা আক্তার মলি। এ ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভাই হাজী আব্দুল ওহাব ওরফে হালীম। ভুক্তভোগী ভাইয়ের অভিযোগ, ফেসবুকে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি বোন মিথ্যা অভিযোগে থানায় জিডি করেছেন। এছাড়াও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বরাবর মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে হাজী আব্দুল ওহাব অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বাড়ি কদমতলি এলাকায়। এখানে পারিবারিক একটি জমি বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে বোনের সঙ্গে আমাদের দ্বন্দ্ব শুরু। নিজেদের মধ্যে জমি বিক্রি না করে বাইরের একজন লোকের কাছে জমি বিক্রি করে আমার বোন। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানালে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করে। এরপর আমার বোনের কাছে আমি কিছু স্বর্ন অলংকার ও টাকা পেতাম। সেগুলো তার কাছে ফেরত চাইলে আমাকে হুমকি দেওয়া শুরু করে। আমাকে নিয়ে ডিবিপ্রধানের হুমকি দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়।
তিনি আরও বলেন, হঠাৎ এক দিন শুনতে পারি কদমতলি থানায় আমার নামে জিডি করা হয়েছে। আমাকে থানা থেকে ফোন দিয়ে যেতে বলা হয়। আমি গিয়ে থানায় বিষয়টি জানাই। এরপরও থানা থেকে আবারও আমাকে ফোন দেওয়া হয় আমি যেন আমার স্ত্রীকে নিয়ে থানায় যাই। কিন্তু আমি স্ত্রীকে নিয়ে থানায় যেতে অস্বীকার করি। এভাবে আমাকে বারবার হয়রানি করা হচ্ছে।
এসব অভিযোগর বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠো ফোনে মুর্শিদা আক্তার মলি ভোরের আকাশ কে বলেন, আমার কাছে আমার ভাই কোনো টাকা, স্বর্ন অলংকার পায় না। বরং আমি তাদের বিভিন্ন সময় টাকা দিয়ে সাহায্য করেছি। আমাকে আমার ভাই বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছে এজন্য আমি থানায় জিডি করেছি এবং সেটা তুলে ফেলার চেষ্টা করছি। আর আমি ডিবি এবং র্যাবের কাছে অভিযোগ দেইনি। আমি তাদের কাছে গিয়েছিলাম বিষয়টি যেন মীমাংসা করে দেওয়া হয় সেজন্য। আমি কোনো ঝামেলা চাই না। কোন দেনা পাওনা থাকলে সেটা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হোক সেটাই চাই। আমার এবং আমার ভায়ের মাঝে দূরুত্ব সৃষ্টি করার জন্য তৃতীয় কোন পক্ষ কাজ করছে। আমি তাদের বের করে তাদের দেখে নিব । এসময় নিজেকে লেখিকা হিসাবে পরিচয় দেন মুর্শিদা আক্তার মলি।
মুর্শিদা আক্তার মলির এ গঠনায় একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হতে দেখা যায়।
আব্দুল ওহাব ও মুর্শিদা আক্তার মলির কয়েকজন প্রতিবেশি নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক সাংবাদিকদের কে বলেন, আমরা এখান কার স্থানীয় বাসিন্দা মলির বিয়ে হয় তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে । মলির বিয়ে হওয়ার পর থেকে সে উগ্র মেজাজের ব্যাবহার করে থাকে , আমরা সবসময় দেখি মুর্শিদা আক্তার মলি উচ্চ গলায় চিল্লা পাল্লা করে থাকে তার আপন ভাই ও চাচাতো ভাইদের সাথে । তার ভাই তার বিয়ে হওয়ার পরে অনেক কিছু দিয়েছেন তার ভাই। কিন্ত সে সবসময় তার বাবার জায়গা দখল করার জন্য বিভিন্ন সময় তার স্বামীকে নিয়ে হুমকি ধুমকি দিয়ে থাকেন তার ভাইদেরকে। এবং প্রশাসনের ভয় দিয়ে থাকেন।
প্রতিবেশি নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক সাংবাদিকদের বলেন,আমরা শুনেছি তার ভাইকে একটি ভুয়া দলিল দিয়েছে। এবং তার ভাইয়ের কাছ থেকে যে টাকা পয়সা স্বর্ন অলংকার নিয়েছে সে গুলো ফেরৎ দিতে অস্বিকার করেন। এমনকি নিজের ভাইয়ের থাকার জায়গা রিয়েল এস্টেট কম্পানির কাছে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য মুর্শিদা আক্তার মলি এবং তার স্বামী যেন উঠে পড়ে লেগেছে। মুর্শিদা আক্তার মলি সবসময় তার ভাইদের সাথে ঝগড়া করে কথা বলেন থাকেন। যা আমরা প্রাই সময় দেখে থাকি।
জিডি সম্পর্কে কদমতলি থানায় জিডির আইওর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের এখানে একটা জিডি করেছে তার ভাইয়ে বিরুদ্ধে মুর্শিদ আক্তার মলি। আমরা এটা তদন্ত করেছি। এটা একটি পারিবারিক বিষয় ছিলো। আমরা এটা সমাধান করার জন্য তাদের দু'জনকেই ডেকেছি। এবং এটা সমাধান করার জন্য চেষ্টা করছি।
মন্তব্য