কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে নিজেদের চার কর্মকর্তা-কর্মচারীর জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে সংস্থাটি। এর অংশ হিসেবে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়ে তাদের সাত কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএসসি ১৭ বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রেপ্তার নিয়ে আলোচনার মধ্যে কমিশনের চার কর্মকর্তা-কর্মচারীর কোচিং বাণিজ্যে জড়িত থাকার তথ্য এল। গতকাল সোমবার বিকালে পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নোটিস দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নোটিস পাওয়া চারজন হলেন-পিএসসির প্রধান কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন ও মো. শাহাবুদ্দিন, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম ও রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. মনিরুল ইসলাম।
পিএসসির সিনিয়র সহকারী সচিব জামিলা শবনম স্বাক্ষরিত নোটিসে বলা হয়েছে, আপনি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়েছেন, যা দাপ্তরিক শৃঙ্খলার পরিপন্থি। আপনার এরূপ আচরণের জন্য বিধি অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়ে পত্র প্রাপ্তির ৭ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হল। এর আগে রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএসসির দুই উপপরিচালক, একজন সহকারী পরিচালকসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে বর্তমান পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করতে দুনীতি দমন কমিশনকেও (দুদক) বলেছে পিএসসি। সিআইডির হাতে গ্রেপ্তারদের মধ্যে পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির কোচিং ব্যবসা জড়িত ছিলেন বলে খবরে এসেছে। এর মধ্যে ঢাকার মালিবাগের জ্যোতি কমার্শিয়াল কোচিং সেন্টারের পরিচালক আবু জাফর। কোচিং সেন্টারটি তার স্ত্রী জ্যোতির নামে। আর আলমগীর কবিরের কোচিং সেন্টারটি ঢাকার মিরপুরে। প্রশ্নফাঁসের ঘটনা সামনে আসার পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে পিএসসি।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য