-->

ভারতীয় ও হিন্দু বলে বাংলাদেশে মারধরের অভিযোগ

দাবি কলকাতার যুবকের

ভারতীয় ও হিন্দু বলে বাংলাদেশে মারধরের অভিযোগ

ঢাকায় ভ্রমণে এসে মারধরের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার এক যুবক। তার দাবি, তিনি ভারতীয় এবং হিন্দু হওয়ার কারণে তাকে আক্রমণ করা হয়েছে। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাতে এনডিটিভি জানায়, এই ঘটনা গত মাসের শেষের দিকে ঘটে।

২২ বছর বয়সী ওই যুবক, সায়ান ঘোষ, কলকাতার বেলঘরিয়ার বাসিন্দা। তিনি গত ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশে এসে ঢাকার একটি বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলেন। সায়ানের কথায়, ওই পরিবার তাকে নিজেদের সন্তানের মতোই দেখভাল করছিল। কিন্তু ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরপরই বিপত্তি ঘটে।

সায়ান অভিযোগ করেন, বাড়ি থেকে প্রায় ৭০ মিটার দূরে চার-পাঁচজনের একটি দল তার পথ আটকায়। তারা পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে ভারতীয় এবং হিন্দু বলে জানান। এরপরই তারা তাকে ঘুষি ও লাথি মারতে শুরু করে। সায়ানের বন্ধুকে আক্রমণ করা হয়, যখন তিনি তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন।

সায়ানের দাবি, হামলাকারীরা ছুরি দেখিয়ে তার মোবাইল ফোন এবং মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। আশেপাশে কোনো পথচারী বা পুলিশ সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। পরে শ্যামপুর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তার অভিযোগ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। সায়ান আরও বলেন, পুলিশ বারবার তাকে বাংলাদেশে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করে এবং পাসপোর্ট ও ভিসা দেখানোর পর তাকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেয়।

তবে চিকিৎসার জন্য দুটি বেসরকারি হাসপাতালে গেলে সায়ানকে সেবা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। অবশেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা পান তিনি। সেখানে তার কপাল ও মাথায় সেলাই করা হয় এবং মুখে আঘাতের চিকিৎসা করা হয়।

ঘটনার পর তিনি বন্ধুর বাড়িতে আরও তিন দিন থেকে ২৯ নভেম্বর দর্শনার উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখান থেকে গেদে হয়ে কলকাতার বেলঘরিয়ায় পৌঁছান। ৩০ নভেম্বর দেশে ফিরে তিনি বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সায়ান অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে অবস্থানকালে সীমান্ত ফাঁড়ি বা ইমিগ্রেশন পুলিশ তার অভিযোগ গ্রহণ করেনি।

নিজ এবং বন্ধুর পরিবারের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে যাওয়ার সাহস পাননি বলেও উল্লেখ করেন সায়ান। তিনি কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনে অভিযোগ জানানোর পরিকল্পনার কথা জানান।

বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার সকল সম্প্রদায়ের ও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অভিযোগ দায়ের করা হলে এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য

Beta version