-->

সুনীল অর্থনীতিতে বড় সাফল্যের পথে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
সুনীল অর্থনীতিতে বড় সাফল্যের পথে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন

বাংলাদেশ সুনীল অর্থনীতিতে বড় সাফল্যর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বুধবার (৫ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় দুই বছরের গবেষণা ও জরিপের ফল তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সুনীল অর্থনীতিতে বড় সাফল্যর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দেশের বিভিন্ন কোম্পানি প্রতি বছর ২৮ হাজার কোটি টাকার সিউইড (সামুদ্রিক শেকড়) কাঁচামাল আমদানি করে থাকে। এটি এখন আর বিদেশ থেকে আনতে হবে না। এতে আমাদের খরচ কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে লাভের পরিমাণ বাড়বে।’

সাধারণত টুথপেস্ট, শ্যাম্প্যু ও ওষুধের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় সিউইড বা সামুদ্রিক শেকড়। সুপারফুড হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছে সিউইড।

যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসের আর্থিক সহযোগিতায় দুই বছর ধরে গবেষণা ও জরিপ পরিচালনা করা হয় জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘আমরা যে সিউইডের সন্ধান পেয়েছি তা প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এরই মধ্যে সমুদ্রসীমা জয় লাভ করতে সক্ষম হয়েছি। সুনীল অর্থনীতি সম্পর্কে আমাদের খুব বেশি ধারণা ছিল না। ধীরে ধীরে সেটি পরিষ্কার হতে যাচ্ছে। এক কথায় আমরা বড় সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, সুনীল অর্থনীতি গবেষণায় গত দুই বছরে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে। ২২০ প্রজাতির সিউইড, ৩৪৭ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৪৯৮ প্রজাতির ঝিনুক, ৫২ প্রজাতির চিংড়ি ও ৬ প্রজাতির কাঁকড়া পাওয়া গেছে।

আন্তর্জাতিক সিবেড অথরিটি কাউন্সিলের সভাপতি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব মোহাম্মাদ খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমাদের সমুদ্রসীমায় মিথেন গ্যাসের সন্ধানও মিলেছে। এর পরিমাণ জানতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে বড়ো অনুসন্ধানে নামতে হবে।’

মন্তব্য

Beta version