-->
শিরোনাম

মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও শ্রমবাজার খুঁজতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও শ্রমবাজার খুঁজতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাতে এক ভার্চ্যুয়াল সভায় অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও শ্রমবাজার খোঁজার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের মিশনগুলোর দায়িত্ব হবে মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও শ্রমবাজার খুঁজে বের করা। আমাদের প্রবাসী শ্রমিকদের প্রায় ৮০ ভাগই মধ্যপ্রাচ্যে। কিন্তু আমরা অন্যান্য অঞ্চলেও শ্রমশক্তি প্রেরণ করতে চাই।’

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাতে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সঙ্গে এক ভার্চ্যুয়াল সভায় ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘নতুন শ্রমবাজারের ফলে একদিকে ঐ দেশের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরাসরি ভূমিকা রাখবে, অন্যদিকে শ্রমিকেরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।’

ড. মোমেন বলেন, ‘শ্রমশক্তিকে আরো দক্ষ করে গড়ে তুলে বিদেশে নিয়োজিত করতে পারলে আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।’

সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে মন্ত্রণালয়ের কৌশলগত কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে ইকনমিক ডিপ্লোম্যাসি ও পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি বাস্তবায়নে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।

রোমানিয়ায় জনশক্তি পাঠানোর প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অন্যান্য দেশেও শ্রমশক্তি প্রেরণের লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে।’ এ সময় তিনি আফ্রিকা অঞ্চলে কনট্রাক্ট ফার্মিং-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রমিকদের সেখানে প্রেরণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সেসব দেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধিরও তাগিদ দেন।

ড. মোমেন বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মাধ্যমে দেশের জনশক্তিকে কাজে লাগানোর সুযোগ সৃষ্টির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় তিনি বিদেশে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যেও কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে বাংলাদেশ মিশনসমূহের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে প্রযুক্তি স্থানান্তরেও ভূমিকা রাখতে হবে। সভায় বিদেশে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, বিশেষকরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশে থাকতে এবং মিশনগুলোতে সেবার মান বাড়াতে সেখানে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।

ভার্চ্যুয়াল এই সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার এডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম, সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমেদ চৌধুরী, সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস, বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।

মন্তব্য

Beta version