-->
শিরোনাম

দাম বাড়লেও তুলা আমদানিতে ভারতের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে: হাতেম

জাফর আহমদ
দাম বাড়লেও তুলা আমদানিতে ভারতের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে: হাতেম
তুলার ক্ষেত। ফাইল ছবি

দাম বাড়লেও ভারত থেকে তুলা আমদানি বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন নিট তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।

রপ্তানি প্রিমিয়ামের চার্জ বাড়ানোয় তুলার বাজার হারাচ্ছে ভারত। বাংলাদেশই ভারতের তুলার একমাত্র বাজার- গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভারতের ব্যবসায়ীদের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শনিবার ভোরের আকাশকে একথা জানিয়েছেন তিনি।

বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি হাতেম বলেন, ‘ভারতে তুলার দাম বাড়ছে, এরপরও তুলা আমদানিতে ভারতের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। অন্য দেশগুলোতে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ ভারত থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তুলা সরবারহ পাওয়ার নিশ্চয়তা এবং স্থানীয় পোশাকের জন্য ভারতের তুলাই বেশি উপযোগী।’

তিনি বলেন, ‘ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশ তুলার উৎপাদনকারী। বাংলাদেশ প্রধানত রপ্তানিতে ব্যবহৃত কাপড়ের জন্য এ সব দেশ থেকে তুলা আমদানি করে। অন্যদিকে স্থানীয় কাপড়ের জন্য ভারতের তুলা আমদানি করতে হয়।

‘তাছাড়া ভারত প্রতিবেশী দেশ হওয়ার কারণে স্থলবন্দর ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তুলা আমদানি করা সম্ভব হয়। ফলে দাম কিছুটা বাড়লেও ভারত থেকে তুলা আমদানি পুরোপুরি বাদ দিয়ে অন্য দেশমুখি হওয়ার সুযোগ নেই।’

মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই তুলাসহ তৈরি পোশাকের কাঁচামালের দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে উৎপাদন খরচে, বেড়ে গেছে খরচ। অন্যদিকে তৈরি পোশাকের বেশি বেশি কার্যাদেশ এলেও বায়াররা বেশি সময় দিচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে করোনার অভিঘাত মোকাবেলায় সরকারের দেওয়া স্বল্পসুদের ঋণ ফেরত দেওয়ার সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছি।’

মন্তব্য

Beta version