-->
শিরোনাম
বাণিজ্যমেলা

নিম্নমানের খাবার, দামও চড়া

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নিম্নমানের খাবার, দামও চড়া
মেলার ২৪তম দিনে গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রাজউকের অধীনে চলছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৬তম আসর। মেলার ২৪তম দিনে গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।

মেলায় ক্রেতা আকর্ষণ বাড়াতে যুমনা, আরএফএল, ওয়ালটনসহ বিভিন্ন কোম্পানি ইতোমধ্যে বিশেষ ছাড় ঘোষণা করেছে। অনেকে তাদের পণ্য বিক্রি বাড়াতে হোম ডেলিভারি সার্ভিস ফ্রি ঘোষণা করেছে। এতে আগের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট স্টল পরিচালকদের।

তবে মেলায় স্থায়ী প্যাভিলিয়ন ছাড়াও অস্থায়ী স্টলে বসেছে বিভিন্ন নামীয় কোম্পানির উৎপাদিত পণ্য। এদের মাঝে নিম্নমানের পণ্য বিক্রির দৃশ্যও চোখে পড়ে।

এদিন মেলায় হুমাউন, কাউছার ও খোকনসহ বেশ কয়েকজন ভাসমান খোলা খাবার বিক্রেতাকে পেয়ারা ও আনারসের আচার বিক্রি করতে দেখা গেছে।

তারা বলেন, ‘গরিব মানুষ, তাই যখন যেখানে সুযোগ পাই, সেখানে খাবার বিক্রি করি। মেলায় অন্যান্য খাবারের দাম বেশি, তাই কম দামে লোকজন আমাদের খাবার কিনে খাচ্ছে।’

এভাবে ভাসমান অবস্থায় খাবার বিক্রি করতে কেউ তাদের বাধা দেয়নি বলেও দাবি করেন তারা।

মেলার খাবারের স্টলগুলোয় নিম্নমানের খাবার চড়ামূল্যে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন দর্শনার্থীরা। অভিযোগ রয়েছে, গত ১ জানুয়ারি মেলা শুরু হওয়ার পর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ব্যতীত কোনো লোকজন খাবারের মান ও ভেজাল প্রতিরোধে অভিযান চালায়নি। ফলে যে যার মতো নিম্নমানের খাবার বিক্রি করছেন।

খাবার ব্যবসায়ীদের দাবি, তারা কোনো ধরনের নিম্নমানের ও চড়া দামে খাবার বিক্রি করছেন না। উল্টো শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মেলা কর্তৃপক্ষ তাদের কোনো খোঁজ নেয়নি।

মেলায় ঘুরতে আসা পিতলগঞ্জের বাসিন্দা কবির মিয়া বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের একটি মেলায় খোলা খাবার বিক্রি হচ্ছে, তা মেনে নিতে পারছি না। তার ওপর আবার খাবারের দামও বেশি। করোনা পরিস্থিতিতে এমন নিম্নমানের ব্যবস্থাপনায় হতাশ হয়েছি।’

ঘুরতে আসা রাজধানীর বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা রাহিমা আক্তার বলেন, ‘বাইরে যে বার্গার মাত্র ৮০ থেকে ১৫০ টাকা, মেলায় সেটার দাম রাখা হচ্ছে ২০০ থেকে ২৮০ টাকা। তাছাড়া মেলায় বেশিরভাগ খাবার নিম্নমানের। কিন্তু তা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এভাবে দাম নিলে কেউ খাবার কিনে খাবে না।’

মেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত খাদ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একাই পুরো উপজেলার বিভিন্ন খাবার হোটেল ও অন্যান্য বিষয় দেখভাল করি। মেলায় আমাকে কেউ লিখিত দায়িত্ব দেয়নি। তবে যেহেতু বিষয়টি আমার এলাকার মধ্যে পড়ে, তাই আমি না গেলেও আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লোকজন দেখাশুনা করছে।’

রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নূর জাহান আরা খাতুন ভোরের আকাশকে জানান, মেলার অভ্যন্তরে কোভিড নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে একাধিক টিম। পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে খাদ্য ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের নিয়ে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানের সময় অনেককেই সতর্ক করা হয়েছে, তবে কাউকে শাস্তির আওতায় আনা হয়নি।

মন্তব্য

Beta version