রাজস্বের তুলনায় ধূমপানে অনেক বেশি ক্ষতি: ড. আতিউর

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজস্বের তুলনায় ধূমপানে অনেক বেশি ক্ষতি: ড. আতিউর
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন ড. আতিউর রহমান।

সিগারেট কোম্পানিগুলো থেকে যে পরিমাণ রাজম্ব পাওয়া যায় ধূমপানের ফলে তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ও বেসরকারি সংগঠন উন্নয়ন সমন্বয় এর সভাপতি ড. আতিউর রহমান।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলামটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ‘তামাক পণ্যে কর বৃদ্ধির সম্ভাব্য প্রভাব’ শীর্ষক জরিপের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে একথা জানান তিনি।

জরিপটি চালায় উন্নয়ন সমন্বয়। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ড. আতিউর রহমান। ধূমপায়ীদের মধ্যে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের হার খুঁজে বের করার তাগিদ দেন তিনি।

ড. আতিউর রহমান বলেন, ধূমপানের ফলে ফুসফুসসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। করোনা মহামারিতে যে সব মানুষের মৃত্যু হয়েছে, বা হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়ে যারা সুস্থ হয়ে ফিরে গেছে- এমন মানুষের মধ্যে ধূমপায়ী মানুষের হার খুঁজে বের করতে হবে। যে তথ্য ধূমপানবিরোধী প্রচারে কাজে লাগবে।

তিনি বলেন, সিগারেটের ওপর ট্যাক্স বসালে রাজস্ব কমে যায়, এমন একটি ভুল ধারণা রয়েছে। এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ধূমপানের ফলে যে ক্ষতি হয় তার প্রভাব অনেক বেশি। সিগারেট কোম্পানিগুলো থেকে যে পরিমাণ রাজম্ব পাওয়া যায় ধূমপানের ফলে ক্ষতি তার চেয়ে অনেক বেশি।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. হাবিবে মিল্লাত এমপি, তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী হোসেন আলী খোন্দকার, উন্নয়ন সমন্বয়ের সমন্বয়কারী শাহিনুল আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জরিপের ফল তুলে ধরে জানানো হয়, সিগারেটের দাম বেড়ে গেলে নিত্যপণ্য কেনা কমিয়ে দিতে পারে ২৯ শতাংশ দরিদ্র মানুষ। ফলে সিগারেটের ওপর বেশি শুল্ক বসালে এ সব দরিদ্র মানুষ আরো দারিদ্র হবে।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ৭১ শতাংশ মানুষ মনে করে, সিগারেটের দাম বৃদ্ধি পেলে কোনোভাবেই খাদ্যশস্য, ভোজ্যতেল, মসলা, শাক-সবজি ও ডাল জাতীয় নিত্যপণ্যের ব্যবহার কমাবে না। বরং মানুষ ধূমপান কমিয়ে দেবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ধূমপানে নিরুৎসাহিত করতে প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজন তামাক পণ্যের লাইসেন্স কঠিন করা। 

মন্তব্য