-->

সপ্তাহজুড়ে ১০ কোম্পানির দাপট

নিজস্ব প্রতিবেদক
সপ্তাহজুড়ে ১০ কোম্পানির দাপট

বিদায়ী সপ্তাহে (২৩-২৭ জানুয়ারি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬ হাজার ১৪৯ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে তালিকাভুক্ত ১০টি কোম্পানি।

সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে এসব কোম্পানির দাপট দেখা যায়, যার জের ধরে সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনে ৩০ শতাংশ চলে যায় এ ১০ কোম্পানির দখলে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১০ কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৩ কোটি ১১ লাখ ২৫ হাজার ৭৬৪টি শেয়ার হাত বদলের মাধ্যমে ৪৮৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৯ শতাংশ।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের রয়েছে ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ, পাওয়ার গ্রীডের ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ, এশিয়া ইন্স্যুন্সের ২ দশমিক ১২ শতাংশ, আরএকে সিরামিকসের ২ দশমিক শূন্য শতাংশ এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।

লেনদেনে ফরচুন সুজ ২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার ১ দশমিক ৮২ শতাংশ, ফু-ওয়াং ফুড ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ ও ওরিয়ন ফার্মা ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ অবদান রাখে।

বিদায়ী সপ্তাহে শেয়ারবাজারে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়। এর মধ্যে চার কার্যদিবসই পতন হয়েছে। এক কার্যদিবস ছিল নামেমাত্র উত্থান।

সপ্তাহ শেষে দেখা গেছে, শেয়ারবাজারের সব সূচকই কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে  লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। এ সময়ে লেনদেনে কমেছে ২ হাজার কোটি টাকা।

গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৬৫ হাজার ২৩৪ কোটি ২৩ লাখ ৫৪ হাজার ১১ টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৬২ হাজার ৯০২ কোটি ৯৬ লাখ ১৪ হাজার ১৩৪ টাকা।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৮ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ২৭ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে।

অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৮ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৩ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৯৯ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৬০২ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮৮৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নেয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৯টির বা ২৫ দশমিক ২৬ শতাংশের, কমেছে ২৬৮টির বা ৬৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত ছিল ২১টির বা ৫ দশমিক ৪১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয় ১৭৮ কোটি ২২ লাখ ৮১ হাজার ৭০৯ টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৩০ কোটি ৭২ লাখ ৮৯ হাজার ৭৩৫ টাকার শেয়ার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৫২ কোটি ৫০ লাখ ৮ হাজার ২৬ টাকা বা ২৩ শতাংশ কম হয়েছে।

মন্তব্য

Beta version