একপ্রকার ক্রেতা খরার মধ্যদিয়েই শেষ হতে যাচ্ছে এবারের বাণিজ্যমেলার আসর। লোকসানের কবলে মেলায় অংশ নেয়া বেশিরভাগ বিদেশি প্রতিষ্ঠান। কারণ হিসেবে যাতায়াত আর নতুন ভেন্যুর সমস্যাকেই সামনে আনছেন তারা।
রূপগঞ্জে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার স্থায়ী প্যাভিলিয়নে ভারত, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকংসহ মোট ২১টি দেশের ব্যবসায়ীরা অংশ নিয়েছেন। ঘর গোছানো আসবাবপত্র, কাপড়, ওরনা, কসমেটিক্সসহ নানা ধরনের পণ্যে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করেছে স্টলগুলো।
তবে এবারের মেলায় লাভের আশায় ডাবল দামে স্টল বরাদ্দ নিয়েছিলেন বিদেশি স্টল মালিকরা। মেলায় স্টলের দাম কমানো না হলে সামনেরবার মেলায় অংশগ্রহণ না করার সম্ভাবনার কথাও জানান তারা।
কথা হয় ডি এইছ সি জাপানের ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা সাবরিনা রহমানের সাথে।
তিনি বলেন, ঢাকায় মেলা চলাকালীন আমাদের মার্কেটিংয়ের পাশাপাশি বেচাকেনা অনেক ভালো হতো। এবারের মেলায় তেমন সাড়া পায়নি। ঢাকার অদূরে হওয়ায় আমাদের স্টলে কর্মরতদের পাশাপাশি মেলায় আগত ক্রেতা দর্শনার্থীদের পড়তে হয়েছে সড়কের ভোগান্তিতে। তাছাড়া মেলায় বিদেশি পণ্য কেনার চেয়ে দেখার লোক ছিল বেশি।
কাশ্মীরি হিরিট্যাগের আজমত কাশ্মীরি বলেন, প্রতিবছরই ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাণিজ্যমেলায় অংশগ্রহণ করে থাকি। এবার প্রথম ঢাকার বাইরে মেলা হয়েছে। তবে শহর থেকে গ্রামে মেলা হওয়ায় শহরের ক্রেতা কম এসেছেন। আবার যাতায়াতের সড়কও তেমন ভালো নয়। সবমিলিয়ে এমন হলে সামনে মেলায় অংশগ্রহণ না করার সম্ভাবনা বেশি।
কথা হয় ইরানি জুয়েলার্সের তুহিন খানের সাথে। তিনি বলেন, মেলা শেষের দিকে এখনো স্টল বরাদ্দের মূল্যই ওঠেনি। আমরা এ দোকানে মোট চাকুরি করি তিনজন। কিভাবে কি হবে বুঝতেছি না। ইরানির (মহাজনের) মন খারাপ। আর আছে একদিন দেখি কি হয়। তবে ইরানির (মহাজনের) ভাষ্যমতে এমন হলে সামনেরবার মেলায় তিনি আসবেন না বলেও জানিয়েছেন তাদের।
মেলার পরিচালক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সচিব ইফতেখার আহম্মেদ চৌধুরী ভোরের আকাশকে বলেন, ঢাকার বাইরে এই প্রথম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাও আবার স্থায়ী প্যাভিলিয়নে সামান্য ত্রুটি থাকতেই পারে। সামনে এবারের সমস্যাগুলো থাকবে না আশা করছি। তবে আমি মনে করি করোনার এ সময়ে মেলা সফলভাবেই শেষ করতে পেরেছি সকলের সহযোগিতায়।
মন্তব্য