-->

করোনার ঘা, খেলাপির খাতায় নাম মাতলুব আহমাদের

জাফর আহমদ
করোনার ঘা, খেলাপির খাতায় 
নাম মাতলুব আহমাদের

বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে খেলাপির খাতায় নাম উঠেছে নিটোল-নিলয় গ্রুপের স্বত্বাধিকারী মাতলুব আহমাদের। বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমশেন ব্যুরোর (সিআইবি) তথ্য অনুযায়ী ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ওই গ্রাহকের ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানের নামে সর্বমোট দায় দাঁড়ায় ৬০২৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ দায় ৩০ কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং সাব-স্ট্যান্ডার্ড (এসএস) বা প্রাথমিক মানের খেলাপি ঋণ ২৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা, মধ্যম মানের খেলাপি বা ডাউটফুল (ডিএফ) দায় ২৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং মন্দমান বা ব্যাড অ্যান্ড লস (বিএল) ঋণ ৬০ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

করোনা-পূর্ববর্তী গ্রাহক ও প্রতিষ্ঠানটি পরিবহণ খাতে বড় ধরনের ব্যবসা করলেও খেলাপির খাতায় নাম উঠেনি। ২০২০ সাল থেকে মার্চ মাস করোনা মহামারি জেঁকে বসলে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য, উৎপাদন বিপণন, যোগাযোগে ধস নামে। ধস নামে কর্মসংস্থানে। আমদানি-রপ্তানিতে বড় ধরনের ধাক্কা লাগে। এ সময় নতুন করে বেকার হয় আরো প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষ। বিশেষ করে এক নাগাড়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার কারণে মানুষ কর্ম হারায়। একই সময়ে সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে বড় ধরনের বিপর্যয় নামে। বাদ যায়নি বাংলাদেশেও।

২০২০ সালের শেষের দিকে করোনা আঘাতটা কমে আসে। স্বল্প পরিসরে উৎপাদন বিপণন শুরু হলে কিছু কমংসংস্থান হলে আমদানি-রপ্তানিতে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে। বিপণনও শুরু হয়। কিন্তু পরিবহণ খাতে ঘুরে দাঁড়াতে কঠিন হয়। এর ঘা লাগে পরিবহণ খাতের উদ্যোক্তা মাতলুব আহমাদ ও তার সহযোগী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেমে গেলেও প্রতিষ্ঠানটি পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়। এবি ব্যাংকের বোর্ডসভায় তুলে ধরা হয়, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর সিআইবি প্রতিবেদন অনুযায়ী মাতলুব আহমাদ ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবি ব্যাংকের ফান্ডেড ৪৬০ কোটি টাকার ঋণ সীমার বিপরীতে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ঋণের সর্বোমোট পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০২৪ কোটি ৩২০ লাখ টাকা। এ সময়ে মাতলুব আহমাদ ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১২২ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

এবি ব্যাংকের বোর্ড বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর। মাতলুব আহমাদ বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে খেলাপি হিসাবে প্রদর্শিত হন একই মাসের ১৭ অক্টোবর। ব্যাংক থেকে মাতলুব আহমাদ খেলাপির ব্যাপারে আলোচনা করা হলে তিনি জানান ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর ফাস ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি নেন এবং সিআইবিতে প্রদর্শিত হওয়ার ‘অভারডিউ’ দায় নিয়মিত করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

মন্তব্য

Beta version