-->

বেগুনের কেজি ১০০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
বেগুনের কেজি ১০০ টাকা

সপ্তাহের ব্যবধানে আরেক দফা বেড়েছে সবজির দাম। হাত দেওয়ার উপায় নেই মৌসুমের বেগুনে। প্রকারভেদে ৮০-১০০ টাকা পর্যন্ত বেগুন বিক্রি হতে দেখা গেছে। ফুলকপি, পাতাকপি থেকে শুরু করে অন্যান্য সবজির দামও কেজিপ্রতি পাঁচ থেকে ১০টাকা বেড়েছে এ সপ্তাহে। এদিকে সরকারি সিদ্ধান্তের আগেই সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছিল ব্যবসায়ীরা। পরে বৈঠকে সরকার তা মেনেও নিয়েছে। অন্যদিকে চাল, ডালসহ অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। সপ্তাহের ব্যবধানে দুই থেকে তিনটি পণ্যের দাম এক টাকা কমলে অন্য পণ্যের দাম বাড়ে ২ থেকে ১০ টাকা। এ নিয়ে দোকানিরা পাইকারি ব্যবসায়ীদের আর পাইকাররা আমদানিকারকদের এবং আমাদনিকারকরা আন্তর্জাতিক বাজারের অজুহাত দেখিয়ে থাকেন।

সবজির বাজারে মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। প্রতি পিস ফুলকপি, পাতাকপি ৪০ টাকা, টমেটোর কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি কেজি শিম মানভেদে ৪০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন আকারভেদে ৪০ থেকে ৮০ টাকা, করলার কেজি ৮০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ১টা লাউ ৭০ থেকে ১০০ টাকা, চালকুমড়া পিস ৪০ টাকা, এক কেজি মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, মুলা, শালগম ৪০ টাকা কেজি, পেঁপের কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

ক্রেতারা বলছেন, ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবে দাম বাড়াচ্ছে সরকার। কিন্তু সাধারণ মানুষের দাবি কেউ শোনার নেই। কি খাবে! কিভাবে কিনব! টাকা আসবে কোথা থেকে! তার কোনো হিসাব মেলাতে পারছি না। মুদির দোকানে প্রতি কেজি মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে, ৫২ থেকে ৫৮ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৫৬ টাকা। মোটা চালের প্রতি কেজিতে ২ টাকা কমে ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা, প্রতিকেজি খোলা আটা ৩৩ থেকে ৩৬ টাকা, খোলা ময়দার কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৪৬ থেকে ১৫৩ টাকা, বোতল সয়াবিন তেল প্রতি ৫ লিটার ৭৪০ থেকে ৮০০ টাকায় পামঅয়েল প্রতি লিটার ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকা, সুপার পামঅয়েল ১৩৮ থেকে ১৪৪ টাকা, প্রতি কেজি আলুর দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা, দেশি পিঁয়াজের কেজি ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, দেশি রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি হলুদ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, আমদানি আদার কেজি ৬০ থেকে ১০০ টাকা, প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা।

বাজার পরিস্থিতির বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান ভোরের আকাশকে বলেন, ‘সাধারণ মানুষ ভালো নাই। আমরা সব সময় বলে আসছি। বর্তমানে বাজার পরিস্থিতি যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা লাগামহীন হয়ে গেছে। সব কিছু পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এর পেছনে বড় কোনো যুক্তি দেখাতে পারছে না।’

আমি বলব, ‘বর্তমান বাজার পরিস্থিতি, তা নিত্যপণ্য হোক আর অন্যান্য আনুষঙ্গিক হোকÑ কোনো কিছুর দাম বাড়া ন্যায্যতার মানদণ্ডে গস্খহণযোগ্য নয়।’

বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকলে খেটে খাওয়া, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেবে কিনা তা আমরা বলতে পারি না বা বলতে চাচ্ছি না। তবে এতটুকু বলতে পারি, মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। প্রতিকারের কোনো পথ দেখছি না।

মন্তব্য

Beta version