-->
শিরোনাম

‘ম্যাপড ইন বাংলাদেশ’-এ পোশাক কারখানার তথ্য

অনলাইন ডেস্ক
‘ম্যাপড ইন বাংলাদেশ’-এ পোশাক কারখানার তথ্য
‘ম্যাপড ইন বাংলাদেশ’ এর আওতায় এখন তিন হাজার ৬৩০টি রপ্তানিমুখি তৈরি পোশাক কারখানা

দেশজুড়ে কারখানা শুমারির মাধ্যমে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত তিন হাজার ৬৩০টি রপ্তানিমুখি তৈরি পোশাক কারখানার তথ্য ‘ম্যাপড ইন বাংলাদেশ’ (এমআইবি)-এর ডিজিটাল ম্যাপের আওতায় এসেছে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অন্ট্রেপ্রেনরশিপ ডেভেলপমেন্ট (সিইডি) এই পাঁচ বছর মেয়াদী প্রকল্পটির বাস্তবায়নের কাজ করছে, যা ব্র্যাকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। এমআইবি প্রকল্পটি লডেস ফাউন্ডেশন এবং নেদারল্যান্ডস সরকারের আর্থিক সহায়তাপ্রাপ্ত।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) প্রকল্পের কৌশলগত অংশীদার (স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার) হিসেবে কাজ করছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই) প্রকল্পটিতে কৌশলগত সহায়তা দিচ্ছে।

এমআইবির উদ্দেশ্য হলো তথ্য যাচাইকরণ ও এর সত্যতা সমর্থনের বিধিমালা অনুসরণ করা। সেক্টরের সব অংশীদার পোশাক কারখানাগুলোর সঠিক, বিশ্বাসযোগ্য এবং হালনাগাদ তথ্য প্রদান করা, যাতে আরো বেশি দক্ষতা, উৎপাদনশীলতা, জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়।

ডিজিটাল ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত পোশাক কারখানার ডাটাবেজ দিয়ে এমআইবি এখন পর্যন্ত বিভিন্ন গবেষণা করছে। ম্যাপড ইন বাংলাদেশের গবেষকরা সাম্প্রতিক একটি প্রকাশনায় দেশের তিন হাজার ২১২টি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানায় ২৫ লাখ ৬৫ হাজার ৭৬১ জন শ্রমিক থাকার তথ্য দেখিয়েছেন। এতে ৫৮ শতাংশ নারী এবং ৪২ শতাংশ পুরুষ শ্রমিক রয়েছে।

এ ছাড়া মহামারি চলাকালে ২০২০ সালের জুন মাসে এমআইবি ডাটাবেজ থেকে তথ্য নিয়ে জানা যায়, মহামারির সময়ে বিকেএমইএ ও বিজেএমইএ এর সদস্যপদ থাকা কারখানাগুলো উৎপাদন ক্ষমতার ৭০.৫৫ শতাংশ ব্যবহারে সক্ষম ছিল। যেখানে সদস্যপদবিহীন কারখানার এই সক্ষমতা ছিল ৫৯.৮৩ শতাংশ।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অন্ট্রেপ্রেনরশিপ ডেভেলপমেন্ট (সিইডি)-এর উপদেষ্টা ও ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি) প্রকল্পের টিমলিডার অধ্যাপক ড. রহিম বি তালুকদার জানান, আমাদের পোশাক শিল্পে এমন অনেক কারখানা অবদান রাখছে। যারা বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ-এর মতো বাণিজ্য সংগঠনের সদস্য নয়। এই সদস্যপদবিহীন কারখানাগুলোরও রপ্তানি খাতে এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রয়েছে।

সদস্যপদবিহীন পাঁচশ ৫৫টি কারখানায় এমআইবির একটি জরিপে দেখা যায়, দেশে করোনা শুরুর সময়ে এ কারখানাগুলোয় ৮৬হাজার ৬৯৭ জন শ্রমিক নিয়োজিত ছিল। এ সকল কারখানা থেকে ছাঁটাই হয়েছে ৫৮হাজার জন শ্রমিক। যা কিনা প্রতি কারখানায় গড়ে ২২৬ জন শ্রমিক।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অন্ট্রেপ্রেনরশিপ ডেভেলপমেন্টের (সিইডি) যুগ্ম পরিচালক ও ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি) প্রকল্পের লিড অপারেশন্স অফিসার মিস আফসানা চৌধুরী বলেন, ‘একদিকে যেমন এমআইবি ডাটাবেজের তথ্য নিয়ে অধিকতর গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে। অন্যদিকে এই তথ্য সরকারের নীতিমালা গঠনে ও পোশাক খাত নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের পরিকল্পনায়ও ব্যবহার করা যেতে পারে।’

বিজ্ঞপ্তি

মন্তব্য

Beta version